অটো পাস নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফল সবাইকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট না করতে পরীক্ষা ছাড়াই পাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এ ফল নিয়ে কাউকে বিরূপ মন্তব্য না করার অনুরোধ করছি।
এর আগে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বাটন চেপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর সব অনুষ্ঠান আমরা বন্ধ করে দেই। আমরা যতটুকু সম্ভব অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি করি। অনুষ্ঠানে আমাদের অনেক বিদেশি অতিথি আসার কথা ছিল তাও আমরা বন্ধ করে দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকেই আমরা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে স্কুল-কলেজ সবকিছু বন্ধ করে দেই। এটা সবার দাবি ছিল। কেননা করোনা ভাইরাসের মহামারি তখন সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছিল। অবস্থার কিছু উন্নতি হলে আমরা ভেবেছিলাম ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা নেব। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। সংক্রমণ বেড়েই চলছিল। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই আমরা অস্বাভাবিক এ পরিস্থিতিতে ফল ঘোষণা করলাম। বাংলাদেশ নয় এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এভাবে ফল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশে যেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ফল তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যান্য সমমান পরীক্ষা ও ক্লাসে যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে সেসব বিষয় বিবেচনা করে আমারা এসএসসি সমমান ফল তৈরি করেছি। এটা একটি কঠিন কাজ ছিল, কিন্তু এ কাজটা সহজভাবে করতে পারায় সংশ্লিষ্ট সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ টিভি ও অনলাইন মাধ্যমে শ্রেণি পাঠ করানো হচ্ছে। তবে আমরা ফেব্রুয়ারি মাস নজরে রাখব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মার্চ-এপ্রিলে আংশিকভাবে স্কুল খুলে দেওয়া হবে।
করোনা কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলের সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলের সাংসংক্ষেপ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ জন।