মৃত্যু বাড়লেও কমেছে শনাক্ত
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ১১১ জনে।
এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭০ জনে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৯ হাজার ২৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৪টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৭টি।
বিজ্ঞাপন
সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৫টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করা হয়েছে সাত লাখ ৯৫ হাজার ১১২টি।
মারা যাওয়াদের মধ্যে দশ জন পুরুষ এবং সাত জন নারী। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ১৪৩ জন বাকি এক হাজার ৯৬৮ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাত জন এবং চট্টগ্রামে পাঁচ, সিলেটে দুই এবং বরিশাল. খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের এক জন করে তিন জন রয়েছেন। মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের দুই জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুই জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের এক জন করে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর দেশে ভাইরাসটিতে প্রথম মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুর তিন দিন পর করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয় ২১ মার্চ। এরপর ২৩, ২৪ ও ২৫ মার্চ টানা তিন দিনে তিন জনের মৃত্যু হলেও মার্চ মাসে ভাইরাসটিতে আর কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
১ এপ্রিল মৃত্যু হয় আরেকজনের। মৃত্যুশূন্য থাকে ২ ও ৩ এপ্রিল। ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দেশে দুজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আর এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন করোনায় দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জনের নিচে থাকলেও, ১৬ এপ্রিল প্রথমবারের মতো করোনায় দুই সংখ্যার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। ১৭ এপ্রিল ছাড়িয়ে যায় মানুষের কল্পনাকেও, ওইদিন দেশে করোনায় ১৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এরপর ১০ মে ১৪ জনের মৃত্যুর পর ২৯ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত করোনায় সিঙ্গেল ডিজিটের (৭ জন) কোনো মৃত্যু হয়নি। ভাইরাসটিতে প্রথম ২০-এর অধিক মৃত্যু হয় ১৮ মে, সেদিন দেশে ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। ৩১ মে প্রথমবারের মতো দেশে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এ ভাইরাসে। ৫০ ছাড়ায় ১৬ মে, সেদিন মৃত্যু হয় ৫৩ জনের। ৩০ জুন দেশের মানুষ করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে, সেদিন এ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় ৬৪ জনের।
মূলত ২৯ মে থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু একদিনের জন্যও ২০ জনের নিচে নামেনি। প্রায় চার মাস ১০ দিন পর ৯ অক্টোবর করোনায় মৃত্যু ২০-এর নিচে নেমে আসে, সেদিন দেশে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
জেডএস