টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা চলছে : ড. নাজনীন
সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ - সংগৃহীত ছবি
স্বাস্থ্য খাতে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তা করোনাকালে সবার সামনে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে। টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে দুশ্চিন্তা চলছে, তা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা খাতে যাতে দরিদ্র মানুষরাই টিকা পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) ও বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) ‘কোভিড-১৯ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে নতুন করে অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। তাদেরকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। সেটি করতে হলে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার সময়ে অর্থনীতির যে বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে সেটি হলো কর্মসংস্থান। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে। আয় কমে গেছে। বৈশ্বিক বাজারে সংকট চলছে। তাই রপ্তানি আয়ও কমে গেছে। কর্মসংস্থানের সঙ্গে দরিদ্রতার সম্পর্ক রয়েছে। করোনার সময় দেশে আয় বৈষম্য ও দারিদ্র্যের হারও বেড়েছে। এটা চিন্তার বিষয়।
বিজ্ঞাপন
ড. নাজনীন আরও জানান, সামাজিক সুরক্ষা খাতে চলতি অর্থবছর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। যার মধ্যে বড় একটি অংশ চলে যাবে সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনের পেছনে। তাছাড়া এই খাতে সুশাসনের মারাত্মক ঘাটতি আছে। যারা যোগ্য নন, তারা সামাজিক সুরক্ষা থেকে সুফল পাচ্ছে। আবার যারা সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া জরুরি, তারা ঢুকতে পারছে না। এই খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। সেটি করতে হলে একটা ডাটাবেইস থাকতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ধনী-গরিবের একটি ডাটাবেইস করছে। কিন্তু অনেক বছর হয়ে গেলেও সেটি এখনও শেষ হয়নি। কেন শেষ হয়নি তা খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. নাজনীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মফিদুল ইসলাম, অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী, ডিজেএফবির সভাপতি হুমায়ুন কবীর, এনজিও সংগঠক শাহ মবিন জিন্নাহ, মমতাজ আরা বেগম, এসএম হারুন আর রশিদ লাল, ড. জাহিদ মাসুদ, শিক্ষক রাবেয়া বিনতে করিমসহ সংশ্লিষ্টরা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবি’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুশান্ত সিনহা।
এসআর/এইচকে