মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল : হাছান মাহমুদ
মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ (রোববার) জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মধ্যযুগে বাংলাদেশ ধনী দেশ ছিল। আমরা ধনী ছিলাম বলেই এখানে বর্গীরা এসেছিল, ওলন্দাজরা এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দৃশ্যপট আবার উল্টে দিতে চাই। আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ আবারো উন্নত ও ধনী দেশে রূপান্তরিত হবো। আমরা একটি মানিবক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই।
বিজ্ঞাপন
হাছান মাহমুদ বলেন, এই দুর্যোগ মহামারিতে বাংলাদেশ সঙ্কট মোকাবিলায় নিজেকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে। করোনার শুরুতে যারা শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিল টেলিভিশনের পর্দা গরম করেছিল যে, হাজার হাজার লাশ পড়ে থাকবে, অনাহারে হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে, তাদের সেই শঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সঙ্কট কীভাবে মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান, তার উদাহরণ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারি পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্য দিয়ে কিভাবে সঙ্কট মোকাবিলা করতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী করোনা সঙ্কট পাড়ি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ করোনা মহামারিকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ উপমহাদেশে তৃতীয় এবং বিশ্বে ২০তম। বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমরা নিজেকে করোনা থেকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু এখানে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে তার পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত। বিএনপি ও তার মিত্ররা এবং রাত ১২টার পরে যারা টেলিভিশন গরম করে তারা এটা স্বীকার না করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের মাত্র ২০ দেশে করোনাকালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পজিটিভি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে গায়ানা আর সাউথ সুদান। দেশ দুটির জনসংখ্যা অনেক কম, অর্থনীতি অনেক ছোট। সেই তুলনায় বাংলাদেশকে বলতে হবে করোনা মহামারির মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক নম্বরে রয়েছে। সরকার ৭ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। এই করোনা মহামারির মধ্যে নয়াপল্টনের অফিসে বসে অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলেন। তারা এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এক-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, আবার তারা সুস্থ হয়ে মানুষের জন্য কাজে নেমে পড়েছেন।
সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে আশান্বিত করেছেন। মানুষ শুধু আশান্বিতই হননি, মানুষ আলোকিত হয়েছেন। গ্রামে আজ কুঁড়ে ঘর নেই। কবিতায় কুঁড়ে ঘর আছে, বাস্তবে নেই। কুঁড়ে ঘর এখন পাকা ঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশকে এগিয়ে নিতে চান না, দেশের নতুন প্রজন্মকে মেধায় সমৃদ্ধ করে এগিয়ে নিতে চান। শুধু বস্তুগত উন্নতি নয়, নতুন প্রজন্মের আত্মিক উন্নতিও তিনি ঘটাতে চান। এখন দেশে উন্নয়ন অর্জনে একটি নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এইউএ/এনএফ