প্রায় দেড় বছর ধরে ৮ হাজার বয়স্ক, বিধবা ও অন্যান্য ভাতা বাবদ ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার আত্মসাতের ঘটনা ঘটছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আগে ব্যাংককে জমা হলেও মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর নম্বর পরিবর্তন করে অন্য ব্যক্তিদের কাছে চলে যাচ্ছে এই টাকা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অন্তত ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত ভাতাগ্রহীতার বক্তব্য সংগ্রহ করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।

দুদকের সহকারী পরিচালক ( জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দৌলতপুর ও কুষ্টিয়ার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা ও অন্যান্য ভাতার সুবিধাভোগীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান হয়। দুদক টিম উক্ত দফতর পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে। এ সময় টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রায় ৮ হাজার ভুক্তভোগীদের বয়স্ক, বিধবা ও অন্যান্য ভাতা বাবদ ১ বছর ৪ মাস ধরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। দুদকের হটলাইনে (১০৬) এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালায় দুদক।

অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়,  দুদক টিম পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং প্রায় ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত ভাতাগ্রহীতার বক্তব্য গ্রহণ করে। ভাতাগ্রহীতারা টিমকে জানায়, তাদের নামে ভাতা মঞ্জুর হলেও নগদ একাউন্টে ভাতার টাকা আসেনি। টিম সমাজসেবা অফিস থেকে পাওয়া ৩৪ জনের বরাদ্দের তালিকার সঙ্গে ভাতাগ্রহীতাদের মোবাইল নম্বরের মিল পায়নি।

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এক্ষেত্রে পাওয়া অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

নথিপত্র ও হিসাব বিবরণী যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে বলেও জানা গেছে।

আরএম/এমএইচএস