আসিয়ানভুক্ত দেশ থাইল্যান্ডের বন্ধর কর্তৃপক্ষের (রানং) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আশা করা হচ্ছে, এটি সামুদ্রিক যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে বাণিজ্য সহায়ক হবে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম এবং থাইল্যান্ডের বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে ডা. চামনান চেরিথ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই সমঝোতা স্মারকটি বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণে সহায়ক হবে। তাছাড়া এর মাধ্যমে বিমসটেক অঞ্চলসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর সংযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এটি উভয়পক্ষের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সুযোগ করে দেবে।

বন্দর ব্যবস্থাপনা, অপারেশন, তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ, বন্দর সংযোগ, উপকূলীয় শিপিং, বন্দর-সম্পর্কিত শিল্প এবং বিনিয়োগ প্রচারে তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় বন্দর কর্তৃপক্ষ উপকৃত হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

এনআই/এমএইচএস