দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ-নেপাল পিটিএ চুক্তি
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশিধর মিশ্রের বৈঠক /ছবি-ঢাকা পোস্ট
আগামী দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) চুক্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশিধর মিশ্র। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বংশিধর মিশ্র বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ও নেপালের ট্রেড নিগোশিয়েশন কমিটির অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। এরপর বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। সেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে সব কিছু ফাইনাল হবে। এই চুক্তির মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
বিজ্ঞাপন
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি আগামী মার্চে আমরা চুক্তি করতে পারব। আমাদের ২০টির মতো পণ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
কৃষিখাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন- বাংলাদেশের কৃষিখাতে ধান, চাল, মসলাজাতীয় পণ্যসহ অন্যান্য কৃষিভিত্তিক পণ্যের উৎপাদন ও চাষাবাদ আধুনিকায়নে একসঙ্গে কাজ করব। এ লক্ষ্যে শিগগির একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে। এতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। এছাড়া আমাদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য খাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে নতুন এসেছেন। আমাদের মন্ত্রণালয়ে আজ প্রথম আসলেন। নেপালের সঙ্গে কৃষিতে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারি ও দুই দেশ কিভাবে উপকৃত হতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মতোই নেপালে ধান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের প্রধান খাদ্যও ভাত। তারা মনে করে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে অনেক বেশি এগিয়ে আছে এবং গবেষণা করে অনেক ভালো-ভালো ধানের জাত উৎপাদন করেছে। সে ধানগুলোর উৎপাদনশীলতা অনেক ভালো। তারা মনে করে এই জাতগুলো নেপালেও উৎপাদন হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, নেপালে অনেক মসলা উৎপাদন হয়। এছাড়া সেখানে কমলালেবুও উৎপাদন হয়। তাই এগুলো নেপাল থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারে। এই মুহূর্তে নেপালের সঙ্গে যে ব্যবসা আছে তা খুবই কম। আমরা দু'দেশই চেষ্টা করছি কিভাবে ব্যবসা আরও বাড়াতে পারি। দু'দেশের মধ্যে রপ্তানি ও কৃষিক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা বিনিময় করতে পারি।
পিটিএ স্বাক্ষর নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কবে নাগাদ চুক্তি সাক্ষর হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাড়াতাড়ি করার জন্য চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।
এসএইচআর/ওএফ