বৃষ্টির ফাইল ছবি

চলতি মাসের (ফেব্রুয়ারি) শেষের দিকে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুদিন বজ্রসহ ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এ মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষে বর্তমানে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলে শীতের এ মৌসুমে আর কোনো শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার তথ্য পর্যালোচনা করে এসব পাওয়া গেছে। অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শ ম সজিব হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে নদনদীর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকবে। এছাড়া শেষ দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরও আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়। তাই যেকোনো কিছু পরিবর্তন হতে পারে।

প্রতি মাসের শুরুতেই মাসব্যাপী আবহাওয়া পর্যালোচনা করে পূর্বাভাস তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বাভাস জানতে আবহাওয়া অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গত মাসের আবহাওয়ার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৯৭ দশমিক সাত শতাংশ বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, দেশে স্বাভাবিকের অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বলতে প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা করে এ পরিমাপ করা হয়। যেমন ঢাকায় ৩১, ময়মনসিংহ ২২, চট্টগ্রামে ২৪, সিলেটে ৩৪, রাজশাহী ১৮, রংপুরে ১০, খুলনা ৩৩ এবং বরিশালে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত বলা হয়ে থাকে।

কৃষি আবহাওয়ায় বলা হয়েছে, বার্ষিক দৈনিক গড় বাষ্পীভবন দুই দশমিক ৭৫ থেকে তিন দশমিক ৭৫ মিলিমিটারে থাকতে পারে।

এদিকে, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ছয় দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশের রাত ও দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়া এলাকার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, হাতিয়া, শ্রীমঙ্গল, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়া। তবে কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ কমে যেতে পারে। 

একে/এফআর