দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বাড়তি সংক্রমণের পেছনে ওমিক্রনের প্রভাবকে দায়ী করলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে। তবে সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা সংক্রমণ অনুপাতে বাড়েনি, এটি ভালো দিক। 

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড ডেডিকেটেড যেসব শয্যা আছে, সেগুলোর মধ্যে ঢাকার ৪ হাজার ৬৮৬টি শয্যার বিপরীতে ৩ হাজার ৭১০টি শয্যা এখনো খালি আছে। নতুন করে করোনায় রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির সংখ্যা সে অনুপাতে বাড়েনি। তবে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। 

নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের অক্সিজেনের সংকট নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো নাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর- এগুলো প্রয়োজন অনুপাতে যথেষ্ট পরিমাণ মজুত আছে।

হাসপাতালে কম ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের টিকা দেওয়ার যে কার্যক্রম চালু আছে, সেটি অত্যন্ত সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। দেশবাসীর কাছে আমরা আহ্বান রাখতে চাই, যারা নিবন্ধন করেছেন এবং টিকার মেসেজ এসেছে কিন্তু টিকা নেননি, আপনার দ্রুতই টিকা নিয়ে নিন। ক্ষুদে বার্তার জন্য যারা অপেক্ষায় আছেন, তারা যেন সেটি পেয়েই নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করেন। কোনো অবস্থাতেই টিকা গ্রহণ না করে ঘরে বসে থাকা উচিত হবে না।

ওমিক্রন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন অনেক বেশি মানুষকে সংক্রমিত করছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ওমিক্রন অনেকটা ছড়িয়ে গেছে। এটা খুবই স্বাভাবিক যে, নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট আসলে, তখন সেটি পুরোনো ভ্যারিয়েন্টকে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিস্থাপন করে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যে পরিসংখ্যান দেখেছি, বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মাধ্যমেই রোগীরা সংক্রমিত হচ্ছেন বেশি। আমরা পূর্ববর্তী সময়ে দেখেছি, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডব কী পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারে। ওমিক্রনের সংক্রমণও আমাদের দেশে ঘটেছে এবং রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।

টিআই/এসকেডি/জেএস