‘চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, পেঁয়াজকে আমি সাইজ করব’
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
পেঁয়াজের দাম কমানো নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। দাম কমানো নিয়ে ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ দাবি করেন।
সচিব বলেন, ‘ই-কমার্স। ইট ইজ ম্যাজিক ওয়ান। আমি যখন ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম যোগ দিলাম, সেদিনই পেঁয়াজ নিয়ে ঝামেলা। মন্ত্রী মহোদয় বাসায় অসুস্থ। বললেন, সচিবকে ফেইস করতে বলো।’
বিজ্ঞাপন
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, ‘আমাকে মিডিয়া ফেইস করতে হলো পেঁয়াজ নিয়ে। সাংবাদিকরা খুব হেল্প করেছেন। নইলে আমার টিকে থাকা ঝামেলা ছিল। এ বছর আমি একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, আমি সচিব থাকি আর না থাকি পেঁয়াজকে আমি সাইজ করব।’
পেঁয়াজের দাম কমানোর ‘ওয়ান অফ দ্যা সিক্রেট হলো ই-কমার্স’ উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘এখন আবার শুনতে হচ্ছে দাম এত কম কেন? আমি যাব কোথায়? দাম বাড়লেও জবাবদিহি করতে হয়, কমলেও করতে হয়। কিন্তু কীভাবে দাম কমালাম? দেখলাম ট্রাক সেলে আমাদের লিমিটেশন আছে। আমাদের সর্বোচ্চ সারা বাংলাদেশে ৩০০ ট্রাক ছিল ক্যাপাসিটি। আর অনেক জোরাজুরি করে ২০০ বাড়ানো যায় সারাদেশে। তো ৫০০ ট্রাক মানে ৫০০ মার্কেট। আমরা ৫০০ মার্কেটে যেতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশে ৫ লাখের বেশি মার্কেট আছে। আমি তখন চিন্তা করলাম, কী করা যায়? ওবায়দুল আজম আমার ডান হাত ছিলেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। বললাম, ওবায়দুল রাতে একটু চিন্তা করি, কী করা যায়। ই-কমার্সে একটু সেট করা যায় কি না। ই-কমার্সের সংস্থা ই-ক্যাব। ডাকলাম, রাজি হয়ে গেল।’
বিজ্ঞাপন
গত দুই বছরে ভারত অভ্যন্তরীণ সরবরাহ সংকট দেখিয়ে পূর্বঘোষণা ছাড়া পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরই প্রভাবে দেশীয় বাজারে পণ্যটির দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম হয়েছিল ২৬০ টাকা পর্যন্ত।
সচিব বলেন, ‘আমাকে সাংবাদিকরা অনেকে প্রশ্ন করে পেঁয়াজের দাম তো বেড়ে যাচ্ছে। তখন আমি বললাম- কত হলে আপনি খুশি হবেন? বলল- ৩০, ৪০ বা ৫০। আমি বললাম ৩০ টাকায় আপনাকে দেবো। বাসায় বসে পাবেন স্বস্তির পেঁয়াজ। ই-কমার্সের লিংকটা দিয়ে দেই। বাসায় বসে পেঁয়াজ পান। এভাবেই পেঁয়াজকে জয় করলাম।’
এসএইচআর/এইচকে