পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া মদের খালি বোতল/ ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ ৫১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন জানান, পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে ৩৮ লিটার বিদেশি মদ, এক হাজার ৫৭ পিস ইয়াবা, ৭০ গ্রাম হেরোইন, ১৫ কেজি গাঁজা, আড়াই লিটার স্প্রিট ও ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় স্ব-স্ব থানায় মোট ৩৪টি মামলা করেছে পুলিশ।

এর আগে মদপানে রাজধানীসহ সারা দেশে কমপক্ষে ১২ জন মারা যাওয়ার পর মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভাটারায় একটি নকল মদ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মদসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাদক নিয়ে ঢাকায় সাম্প্রতিক সবচেয়ে বড় অভিযানটি হয় রাজধানীর উত্তরায়। মঙ্গলবার ও বুধবার উত্তরার তিন ও পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বিয়ার ও বিদেশি মদসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারে অবস্থিত ব্যাম্বু শুট চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে বিয়ারের আটটি খালি বোতল, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের চারটি খালি বোতল উদ্ধারসহ উইলিয়াম রোজারিও, শাওন, ইমরান ও শমির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে অবস্থিত লিজেন্ড ক্লাব লিমিটেড বারে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪৪ বোতল বিদেশি মদসহ সাহিদুর রহমান মিজান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি রোডে অবস্থিত এয়ারোলিং আবাসিক হোটেল থেকে ৬০টি হান্টার বিয়ারের খালি বোতল এবং একটি খালি বিদেশি মদের বোতলসহ কাওছার কিবরিয়া, মো. রিপন ও মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উক্ত ক্লাব, বার, রেস্টুরেন্ট ছাড়াও উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের হোটেল গ্র্যান্ড প্যালেস, হানসা হোটেল, ১১ নম্বর সেক্টরের হোটেল প্লাটিনাম, ১৪ নম্বরের হবনব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, ১২ নম্বরের শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ রোডে অবস্থিত লাভলীন রেস্টুরেন্টের পঞ্চম তলায় একটি সিসা বারে অভিযান পরিচালনা করে সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

এছাড়াও একই ভবনে অবস্থিত একটি স্পা হাউস ও সিগনেচার ক্লাবেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ এলাকায় গ্রেফতার হওয়াদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ‍তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এআর/এফআর