স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার /ছবি- ঢাকা পোস্ট

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

আর্ল মিলার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সবাই একযোগে কাজ করব। 

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার অভিযোগ তুলে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চলে। দেশটির সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গণহারে হত্যা, ধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। 

এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরো যেসব রোহিঙ্গা এসেছে তাদেরসহ সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাদের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ের ৩৪টি শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তিন বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। সর্বশেষ গত ১৯ জানুয়ারি মিয়ানমারের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বাংলাদেশ। ওই বৈঠকের পর বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুম বিন মোমেন।

সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, পোশাক রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ইনভলভমেন্ট আছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন জনগণ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। সেসময় তারা আমাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ও পাশে ছিল। 

তিনি বলেন, আমাদের সব সিটি কর্পোরেশন ইস্যুতে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের একটা প্রোগ্রাম আছে সিডিসি। সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে তাদের একটি আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো টাকার প্রকল্প নয়। একটা দর্শন বা মডেল নিয়ে কাজ করবে তারা। মূলকথা হলো আমাদের এখানে একটা মডেল ডেভলপ করতে চাচ্ছে তারা। সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের এই মডেলটা আছে।

এসএইচআর/ওএফ