নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম /ছবি-ঢাকা পোস্ট

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্কিত করতে কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। আমাদের আগের চাকরিতে যেভাবে স্বচ্ছ ছিলাম এখনও সেভাবেই আমরা স্বচ্ছ আছি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত দুর্নীতি অভিযোগে ১০২ জন আইনজীবী রাষ্ট্রপতির কাছে সিইসিসহ কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। এবিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। প্রশিক্ষণ যখন থেকে চলছে তখন থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী দিয়ে আসছি। এখনও দেওয়া হয়। এটা কমিশন থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত। 

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট আছে। তবে আগের তুলনায় সহিংসতা অনেকটা কম। নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যহত না হয়, সেজন্য ইসি সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রার্থীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তাহলে নির্বাচনের পরিবেশটা ভালো থাকবে।

ইসি নির্বাচনের কোনো ঘটনা তদন্ত করেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই ইসি প্রত্যেকটা অভিযোগ তদন্ত করেছে। কিছু কিছু বিষয় থাকে ইসির এখতিয়ারের বাইরে সেগুলো সম্পর্কে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে যা ঘটনা ঘটেছে সে কেন্দ্রগুলোতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসলে তখন ব্যবস্থা নিতে পারব। রিটার্নিং অফিসারের নিকট যখন একটি অভিযোগ আসে তখন তিনি অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং আমাদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসে সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেওয়া হয়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুন হলে একটা পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। ফলে বিষয়গুলো পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রচার-প্রচারণায় কেউ বাধা দিলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আগামী নির্বাচনগুলো আরও ভালোভাবে করার জন্য যা যা দরকার নির্বাচন কমিশন তা করবে।

গোপন কক্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি কিভাবে ভোট দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, কেন্দ্র ও বুথে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থাকে। যদি প্রিজাইডিং অফিসারের নামে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তিনি আইনের আওতায় থাকবেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণের ব্যয় সংক্রান্তে অডিট আপত্তি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অডিট আপত্তি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে। এটা দুর্নীতি না। আমি যে খাতে খরচ করেছি, আমি টাকাটা সঠিকভাবে খরচ করেছি কিনা এজন্যই অডিট হয়ে থাকে।

এসআর/ওএফ