র্যাব ইস্যুতে বিভিন্ন সংস্থায় অপপ্রচারের জবাবে চিঠি দিয়েছে ঢাকা
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার চালানো হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাগুলোতে ঢাকার পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ১৬তম জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২১’ প্রতিযোগীতার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মোমেন বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যক্তি; বিশেষ কিছু ইস্যু নিয়ে, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ঠ জোর পেয়েছে। তারা লেখালেখি করবে। কিন্তু এগুলো ব্যক্তি বিশেষের লেখালেখি। আমাদের বিশ্বাস ওইসব সংস্থা এগুলো আমলে নেবে না। আমরা তবুও সেসব সংস্থাকে একটা ব্রিফিং পাঠাচ্ছি। আসলে কী অবস্থা সেটা জানানোর জন্য আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি সব সংস্থাকে। আমরা সব মিশনে কথা বলেছি। যেসব সংস্থার কথা বলা হয়েছে, তাদের কাছে আমরা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বহির্বিশ্বে ঢাকার সঙ্গে যে ধরনের সম্পর্ক রয়েছে তাতে ব্যক্তি বিশেষের লবিস্টগুলো প্ররোচণায় সুবিধা করতে পারবে না বলে বিশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর আগে অবশ্য গত বছরের নভেম্বরে র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তবে বিষয়টি নতুন বছরের শুরুর মাসে গণমাধ্যমে আসে।
এছাড়া র্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিতে গত ২০ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য ইভান স্টেফানেক ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বরাবর চিঠিটি দিয়েছেন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরপরই বিষয়টি দেখভালের জন্য তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অগ্রগতি বা হালনাগাদ কোনো তথ্য আছে কিনা- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমরা এগুলো নিয়ে কনটিনিউয়াসলি মিটিং করি। কি করতে হবে সেটা আমরা আলোচনা করছি এবং আমরা সিদ্ধান্তগুলো আলোচনা করেই নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দশে আমরা যে কয়েকজন আছি, আমরা বসে ঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিব কি করা উচিত। এগুলো কনটিনিউয়াস প্রসেস।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভিযোগ দেশের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়েত মিলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারে বিএনপি লবিস্ট নিয়োগে ৪ দশমিক ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কাছে ১৮টি চিঠি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আপনারাই ঠিক করেন কী ব্যবস্থা নেবেন। দেশের বিরুদ্ধে যারা অমঙ্গল চায় তাদের বিরুদ্ধে কিরকম ব্যবস্থা আমরা নিতে পারি আপনারাই বলেন।’
এনআই/জেডএস