গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে এক নারী দর্শনার্থীর সময় কাটানোর ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এতে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে এ ঘটনায় কারাগারের জেল সুপার, ডেপুটি জেল সুপার, প্রধান কারারক্ষীসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করে।

কারাগারে বন্দি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের বিরুদ্ধে দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

করোনাকালীন কারাগারের কয়েদিদের সঙ্গে কোনো দর্শনার্থীর সাক্ষাৎ করাও নিষিদ্ধ রয়েছে। তবে নিয়ম ভেঙ্গে কারা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এক নারী দর্শনার্থীর সঙ্গে সময় কাটান তুষার আহমদ। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে ফুটেজটি প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারের কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় তুষার আহমেদ ঘোরাফেরা করছেন। কিছুক্ষণ পরই বাইরে থেকে এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। তার পরনে ছিল বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলায়েন এ সময় সেখানে ছিলেন।

ওই নারী দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। সে সময় তার সঙ্গে দুই যুবক ছিল। ডেপুটি জেলার সাকলায়েন তাকে সেখানে রিসিভ করেন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। এর আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি তুষার আহমদকে ওই অফিসে নিয়ে আসা হয়।

এ ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, ‌এটি জঘন্য কাজ। কারাগারে এসব নিষিদ্ধ। এর পেছনে যারা দায়ী প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও করতে বলা হয়েছে। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, সব কারাগারের জন্য এটি সতর্কবার্তা। যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকবে, তারাই শাস্তির আওতায় আসবে। কেননা এটি জঘন্যতম অপরাধ।

এসএইচআর/ওএফ