পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন

নেপিদোতে নিযুক্ত ঢাকার রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের কারণ জানানো হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এক চিঠির মাধ্যমে তাকে অভ্যুত্থানের কারণ সম্পর্কে অবহিত করে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মো‌মেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চিঠি দি‌য়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত‌কে জানিয়েছেন, ‘তা‌দের নির্বাচনে ১০ লাখ ৪০ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির কারণেই ক্ষমতার পালাবদল করা হয়েছে।’

গত সোমবার অং সান সু চিসহ দলটির অন্যান্য মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এ সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর রাখাইনে রো‌হিঙ্গা‌দের কয়েকজন কমান্ডারের সঙ্গে আলোচনা করেছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে, মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নতুন কমান্ডাররা সেখানকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। তারা সেখানে রোহিঙ্গাদের মুরুব্বিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গারা সেখানে অভিযোগ করেছে, চলাফেরা করতে পারেন না।

‘রাখাইন রোহিঙ্গাদের অবস্থা ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন করা হবে বলে জানায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী’- বক্তব্যে যোগ করেন মো‌মেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুনেছি, কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গারা এসব তথ্য জান‌তে পেরেছেন। ঘটনা শোনার পর তা‌দের মধ্যে খুব উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তারা খুব খুশি।’ কক্সবাজারে আশ্রিত রো‌হিঙ্গা‌দের প্রত‌্যাবাস‌নের ক্ষেত্রে এটা ভালো খবর বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও, সে প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।

এনআই/এমএইচএস