বালি দিয়ে কৃষি জমি ভরাটের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বালি ভরাটের কাজে ব্যবহৃত ৪০০ ফুট পাইপও এ সময় ধ্বংস করা হয়।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখালি এলাকায় দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার যৌথ নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ডিএসসিসি জানায়, অবৈধভাবে বালি দিয়ে জমি ভরাট কাজে নিয়োজিত দুরন্ত এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সুমন আহমেদকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া ভরাট কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ২০টি পাইপ ধ্বংস করা হয়। আলামত হিসেবে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাইপ জব্দ করা হয়। এ সময় আদালত আগামী তিন দিনের মধ্যে ভরাট কাজে ব্যবহৃত অন্য সব পাইপ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এখানে কৃষি জমি অত্যন্ত মূল্যবান। তাই, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কৃষি জমি ভরাট বন্ধে সরকার বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১০ প্রণয়ন করেছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন- ২০০৯ অনুযায়ী এ ধরনের কর্মকাণ্ড দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই, কৃষি জমি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নির্দেশনায় আমরা গত বছরও এখানে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। এ বছরও আমরা অভিযান শুরু করেছি।

এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।

অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, ভূগর্ভস্থ থেকে বালি উত্তোলনের ফলে পানি ও বালি পড়ে ধানি জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ধানি জমিগুলো উর্বরতা হারাচ্ছে। ফলে, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মাধ্যমে জমি ভরাট করায় আমরা ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১০’ এর ৪ ও ৫ নম্বর ধারা এবং ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন- ২০০৯’ অনুযায়ী আমরা জরিমানা করেছি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও ফকিরখালিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন টানা কয়েক দিন অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় অবৈধভাবে বালি ভরাটের দায়ে তিনটি ড্রেজার মেশিন ও দুই হাজার ৮০০ ফুট পাইপ জব্দ করে তা স্পট নিলামে পাঁচ লাখ সাত হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

এএসএস/এমএআর/