ছবি : সংগৃহীত

পিএসসি’র এখন যে অবস্থা, তা পূর্বের জায়গায় নেওয়া খুবই দুরূহ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মিডিয়ায় চাকরি প্রার্থীরা পিএসসি বা এর কোনো সদস্য বা চেয়ারম্যানকে নিয়ে কিছু বললে, তখন সাধারণ মানুষ বা চাকরি প্রার্থীরা বিষয়টি নিয়ে তিনবার ভাবতো! কারণ সবার ভাবনায় ছিল, বিসিএস এমন একটা পরীক্ষা, যেখানে ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব এবং ক্যাডার বা নন-ক্যাডার একটা চাকরি মেধাবীদের হবেই।

তাই দেশের শিক্ষিত সচেতন ছাত্র-সমাজ মনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে, সাহস নিয়ে পড়াশোনা করতো এই ভেবে যে, অন্তত নির্ভেজালভাবে ভালো একটা চাকরি পাবে। নিয়োগ বাণিজ্যের কবলে পড়তে হবে না অন্তত। কিন্তু প্রতিষ্ঠান এখন যেভাবে কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত, মেধাবীদের কল্যাণ ও মূল্যায়নের বিপরীতে কাজ করছে।

পূর্বতন চেয়ারম্যানরা বেকারবান্ধব পিএসসি’র যে একটা জৌলুস ভাব বা তকমা ছাত্র সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছিলেন, বেশকিছু দিন ধরে প্রতীয়মান হচ্ছে সেই তকমা অর্থাৎ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার জায়গা ধ্বংস করা হচ্ছে। পিএসসি এখন যেন বেকার তৈরির কারখানায় পরিণত হচ্ছে।

আরও পড়ুন : সরকারি চাকরি কেন সবার প্রথম লক্ষ্য? 

যেখানে মেধাবীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করে, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার সবাইকে চাকরি দিয়ে ইতিহাস রচনা করবে, মেধাবীদের পরিবারে হাসি ফোটাবে, সেই পথে না গিয়ে কীভাবে মেধাবীদের কম চাকরি দেওয়া যায় সেই পথে এগোচ্ছে। এটা আবার নিয়োগ-বাণিজ্যের দ্বার খুলে দিচ্ছে।

পিএসসি যতগুলো নন-ক্যাডার সংরক্ষণ করে দিবে, ততগুলো পদ পাবে। ৩৬, ৩৭, ৩৮ ও ৪০তম বিসিএসে যেভাবে ফল প্রকাশের পর অধিযাচন পত্র অনুযায়ী বিভিন্ন অফিস থেকে খুঁজে পদ বাড়িয়ে আনতে পেরেছে বা সুযোগ ছিল সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।

এর মাধ্যমে বিসিএসের যে দীর্ঘসূত্রিতা তাতে মন্ত্রণালয়গুলো আলাদা নিয়োগ দিবে মাত্র ১০০/২০০/৪০০ নম্বরের পরীক্ষার মাধ্যমে। যেখানে নিয়োগে অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

পদ নির্ধারণ করে দিলে নন-ক্যাডার সবসময় নগণ্য পরিমাণ পদ পাবে। কারণ, মন্ত্রণালয়গুলো অসংখ্য কাজের চাপে এত ফাইল ঘেঁটে পিএসসি’র কথায় পদ বের করে যত্ন করে পিএসসিতে পাঠাবে এমন আশা করে লাভ নেই। তাই পদসংখ্যা নির্দিষ্ট করে না দিলে, সংশ্লিষ্ট বিসিএসের সুপারিশ প্রত্যাশীরাই ওইসব অফিসের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে বিদ্যমান পরিস্থিতি বুঝিয়ে পিএসসি’র অধিযাচন পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পদ আনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক কাজে সহায়তা করতে পারে এবং শূন্য পদগুলোও অনেকটা পূর্ণ হয়।

যাতে প্রশাসনের কাজের চাপ লাঘব হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং এর গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মেধাবীরা মুক্তি পাবে। হাজার হাজার পরিবারে সুখের হাসি ফুটবে।

আরও পড়ুন : মহামারিতে তারুণ্যের সংকট ও সমাধান

সংকট যেভাবে ঘনীভূত হচ্ছে বা চলমান রয়েছে, তাতে একটি মহল জাতিকে মেধা শূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পিএসসি'র বর্তমান হঠকারী ও একগুঁয়ে নীতির বিষয়টি হতাশা ও দুঃখজনক এবং সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে হচ্ছে।

বিসিএস পরীক্ষায় প্রার্থীরা দীর্ঘ সময় (তিন বছর থেকে পাঁচ বছর) ধরে, ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি, ৯০০/১১০০ নম্বরের লিখিত, এবং সর্বশেষ আবার ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা সর্বমোট ১৫০০ নম্বরের বিশাল সিলেবাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কেউ ক্যাডার, কেউ পদ স্বল্পতার কারণে নন-ক্যাডার হিসেবে উত্তীর্ণ হয়।

বর্তমান যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে, নন-ক্যাডারে এই ১৫০০ নম্বরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একটা বিশাল সংখ্যক মেধাবী তরুণ সমাজকে কম সুপারিশ করে, মন্ত্রণালয়গুলোর মাধ্যমে আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, নামমাত্র ১০০/২০০/৩০০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ-বাণিজ্যকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

যেখানে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে দক্ষ ও কার্যকর প্রশাসন গড়তে মেধাবীদের বিকল্প নেই, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ ও নীতির অনেকটাই বিপরীতে অবস্থান করা জাতির জন্য চরম হতাশার। এটা স্পষ্টত প্রধানমন্ত্রীর নীতি বিরুদ্ধ কাজ।

যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নীতি মেধাবীকে যোগ্য স্থান দেওয়া, সেখানে কীভাবে তার নীতি বিরুদ্ধ কাজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেটা নজরে আনা জরুরি।

যখন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকাই দেখা যায় চাকরি প্রার্থীদের পড়াশোনার বিভিন্ন গ্রুপে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দিকে অবলীলায় অভিযোগের তীর ছুড়ছে চাকরি প্রার্থীরা। এটা কেন হবে? এই অবস্থা সৃষ্টি কারা করছেন, কার স্বার্থে করছেন? একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও তার কর্তৃপক্ষের দিকে কখন অভিযোগের তীর ছোড়া হয়, কেন হয়, কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এমনটা করা হয়, সেটা ভাবার সময় এসেছে।

আরও পড়ুন : নৈতিকতা ও নেতৃত্ব 

দেশে সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ শূন্য (১৫ জুন ২০২১, প্রথম আলো)। সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই তথ্য তুলে ধরেছিল।

অন্য এক তথ্যে দেখা যায়, সরকারি দলের সংসদ বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, বর্তমানে দেশের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ সরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে ৫৫ হাজার ৩৮৯টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪৯ হাজার ১৪২টি ফাঁকা রয়েছে।

এছাড়া প্রতিনিয়ত তো পদ বা শূন্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে। তাহলে দক্ষ ও গতিশীল প্রশাসন গড়তে, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বাস্তবে রূপ দিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতি অনুসরণ করতে এই শূন্য পদগুলো পূরণ করতে বাধা কীসের? যদিও পদ সংরক্ষণের বিষয়টি থাকে। যদি নন-ক্যাডার নিয়োগের পূর্ব নিয়ম বহাল রেখে মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হয় তবু সকল শূন্য পদ পূরণ দুরূহ হয়ে যাবে।

৬ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের সর্বোচ্চ সংখ্যক সুপারিশের দাবিতে এবং ৪০-৪৪তম বিসিএসে বিজ্ঞপ্তির তারিখ ওয়ারী পদ বিভাজনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে 'মানববন্ধন' কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পিএসসি’র সামনে আয়োজিত হয়। সেখান থেকে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞ সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি উপস্থাপন করলে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পূর্বের ন্যায় হতাশার বাণী শোনান।

আরও পড়ুন : চাকরিপ্রার্থীর কথা ভাবছে কে? 

সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি, ৪০-৪৪তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখের আগের শূন্য পদগুলো থেকে সুপারিশ করা হবে, যেটাকে পিএসসি বলছে বিধি অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

প্রার্থীরা যেটা অযৌক্তিক বলছে এভাবে যে, ৩৭/৩৮তম বিসিএসে তো তাহলে ৪০তম বিসিএসের শূন্য পদসমূহ সুপারিশ করা হয়ে গেছে। তাহলে পাঁচ বছর আগের (১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ) জমা হওয়া পদ কী করে থাকে, যা ৪০তম নন-ক্যাডারদের দেওয়া যাবে?

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই পাঁচ বছরে অধিকাংশ প্রার্থীর বয়সও শেষ হয়ে গেছে। ৪০তম বিসিএসে সুপারিশের অপেক্ষায় থাকা আবেদনকারী প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, যদিও সর্বমোট নন-ক্যাডার হচ্ছেন ৮ হাজার ১৬৬ জন। সেই আবেদনকারীর মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার থেকে চার হাজার পরবর্তী বিসিএসেও (৪১তম, ৪৩তম বা ৪৪তম) লিখিত দিয়েছেন বা দিবেন। তাই যদি এদের সবাই ৪০তম-এ নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেয়ে যায়, তবে তারা তো এমনিতেই পরবর্তীতে ওই বিসিএসে ক্যাডার পেয়ে গেলে বা নন-ক্যাডারে আসলেও নতুন করে আবেদন করতে পারবে না।

শূন্য পদের উপরে যে তথ্য তুলে ধরা হলো সেগুলোসহ প্রতিনিয়ত যে শূন্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে সব মিলে যদি প্রতি বিসিএস থেকে পাঁচ-ছয় হাজার করেও সুপারিশ করা হয়, তবুও তো সব শূন্য পদ পূরণ হবে না। তাহলে সুপারিশে বাধা কোথায়?

সকল অসঙ্গতির ভার কেন ৪০তম’র উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে? বিসিএসের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণকারী করোনার আঘাতে জর্জরিত ৪০তম বিসিএস। চলতি বছরের ২৯ মার্চ ৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডারের সর্বশেষ সুপারিশ করা হয়। কিন্তু, তিন মাস পর জুন মাসে ৪০তমের আবেদন গ্রহণ করা হয় ৩৮/৩৭/৩৬...তমের নিয়মে (২ জুন থেকে ১৬ জুন, ২০২২ পর্যন্ত)। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠাতেও বিলম্ব হয়।

আরও পড়ুন : বেকারত্ব : স্বপ্নভঙ্গের আরেক নাম 

তালিকা প্রকাশের ঠিক আগ মূহুর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হঠাৎ ৪০ ফরমেটের পদগুলো ভাগবাটোয়ারার জন্য পাঠিয়েই জটিলতার সৃষ্টি। এ যেন উদ্ভট পরিকল্পনা! কারণ, ৪০তম বিসিএসের সবকিছু হলো ৩৪/৩৫/৩৬/৩৭/৩৮তম-এর আদলে। আর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সাত মাস পর, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৫ বছর পর এসে এমন সিদ্ধান্ত ৪০ থেকেই কার্যকর করা হবে, এটা সুপারিশ প্রদানের ঠিক আগেই ভাবতে হবে কেন? বিদ্যমান সমস্যার আগে সমাধান করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারে এর ক্ষতিপূরণ করার চিন্তা করলেও তো এমন বেকার বিরুদ্ধ অমানবিক নীতিমালা বাস্তবায়ন কোনো হৃদয়বান মানুষের পক্ষে অবলম্বন করা সহজ নয়।

এত বিশাল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফলতার সাক্ষর রেখেও নন-ক্যাডারগণ তাদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমে, রোদে দাঁড়িয়ে থেকে ‘মানববন্ধন’ করতে হয়। এই লজ্জা কার? মেধাবীর মেধাকে এত অসম্মান কেন? জাতির বিবেকের কাছে এটাই প্রশ্ন। রাষ্ট্র কি এর দায় এড়াতে পারে? সরকারের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যেটি সকল সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে এতদিন কাজ করে যাচ্ছিল সেটিকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

গতিশীল মেধাবী তরুণরা যোগদান করলে প্রশাসনের গতিশীলতা আসবে। বয়স হারানো প্রার্থীদের অন্য কোনো বিকল্প নেই তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হবে, দ্বৈতনীতি তথা সমতার নীতির কথা বলে, সংবিধানের ২৯নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত 'সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা' লঙ্ঘনের শামিল হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

আরও পড়ুন : তারুণ্যের বাজেট, সংকট ও সমাধান 

৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের দুইদিক থেকে সুযোগ বঞ্চিত করা হচ্ছে, এতে জনমনে ক্ষোভ হতাশা সৃষ্টির কারণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদত্যাগের প্রশ্ন জড়িয়ে যাওয়ার মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, এতে সরকার ও পিএসসি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে।

সর্বশেষ ভিশন-২০৪১এর লক্ষ্য অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী সুপারিশ করলে, কোনো বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বরং অধিক সংখ্যক মেধাবী চাকরিতে প্রবেশ করতে পারবে। 

আর প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার লক্ষ্য, মেধাবীদের প্রশাসন কায়েম হবে। নিয়োগ বাণিজ্য ফিরবে না, মেধাবীরা পড়াশোনায় আরও আগ্রহী হবে, সামাজিক অবক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মোচন হবে। আশা করি কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হবে, বেকারদের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গার হারানো তকমা ফিরে পাবে পিএসসি।

এস. এম. আশরাফ সিদ্দিকী ।। শিক্ষক