ছবি : সংগৃহীত

৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নির্বাচন থেকে নিজেদের দূরে রেখে ঠেকানোর আন্দোলন করল বিএনপি। না পারল নির্বাচন ঠেকাতে। না পারল আন্দোলন জমাতে। সব মিলিয়ে লেজে গোবরে অবস্থা। বিএনপি ক্ষমতার বাইরে সব মিলিয়ে ১৭ বছর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে কখনোই কাটায়নি, ক্ষমতায় থেকে জন্ম নেওয়া দলটি।

মূলত নির্বাচনের দেড় দুই বছর আগে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একের পর এক ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। এই করতে গিয়ে ভোলায় দুই কর্মীর মৃত্যু হয় তাদের। এরপর নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ এবং সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরসহ আরও কয়েকটি জায়গায় বেশকজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ দিয়ে দেশের বড় শহরগুলোয় টানা সমাবেশ করে আন্দোলন একটা পর্যায়ে নিতে পেরেছিল বিএনপি। তবে ওই ধাপের আন্দোলনে ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকার সমাবেশ কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ায় দলটি।

পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দিতে চাইলেও বিএনপি অনড় থাকে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেন দরবার চলার মধ্যেই ৭ ডিসেম্বর ২০২২ দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় নেতাকর্মীরা। নিহত হন একজন। তছনছ হয় কার্যালয়। গ্রেফতার হন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতা।

অবশেষে ১০ ডিসেম্বর ২০২২ গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা তৈরি করতে পেরেছিল দলটি ঢাকায় এসে তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়।

নির্বাচনের অনেক আগে দলীয় এমপিদের পদত্যাগের ঘোষণাও আন্দোলনে কোনো মাত্রা যোগ করতে পারেনি। এরপর বিএনপি তাদের কর্মসূচি আবার তৃণমূলে নিয়ে যায়। অর্থাৎ ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সভা সমাবেশ শুরু করে, জেলা উপজেলা বিভাগ হয়ে আবারও ঢাকায় নিয়ে আসে আন্দোলন।

যুগপৎভাবে বেশকিছু মিছিল সমাবেশ করে সমমনা দলগুলো সঙ্গে নিয়ে। এই ধাপের আন্দোলনের উত্তুঙ্গ অবস্থায় গেল বছরের ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে তারা। কিন্তু ওইদিন নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা দেখে নগরবাসী। বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হামলায় আহত হন বহু সাংবাদিক ও পুলিশ। নিহত হন এক পুলিশ সদস্য।

নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এমন সহিংসতায় পথ হারায় বিএনপির আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের দেশগুলো লাগাতার সরকারের সমালোচনা করে আসায়, তখন পর্যন্ত তা বিএনপির পক্ষেই যাচ্ছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর তারাও চুপ হয়ে যান। গ্রেফতার হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা।

২৮ অক্টোবর ২০২৩ ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে তারা। কিন্তু ওইদিন নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা দেখে নগরবাসী। বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হামলায় আহত হন বহু সাংবাদিক ও পুলিশ। নিহত হন এক পুলিশ সদস্য।

একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, এক সময় বিএনপির আন্দোলনের দাবিগুলো ছিল পণ্যের অতিমূল্য, গুম-খুনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে। সঙ্গে তারা বলেছিল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু সব ছাপিয়ে এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়ে ওঠে তাদের প্রধান দাবি। এক পর্যায়ে শুরু করে তত্ত্বাবধায়কের একদফার আন্দোলন।

এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে একটু বিশদ বলতে চাই। এই দেশে সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচন হয়েছে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে—যেখানে বিএনপি ৩০টির মতো সিট পেয়ে প্রধান বিরোধীদলের আসনে বসে। এরপর আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল হয়। যদিও আদালত বলেছিলেন—সংসদ চাইলে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সংসদ তা মনে করেনি।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। তবুও তত্ত্বাবধায়ক ফেরানোর জন্য বিএনপি আন্দোলন করেছে। লাগাতার হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে দেশজুড়ে। জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলেছে দেশজুড়ে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে।

কার্যত বেগম জিয়ার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পুরোটাই আটকে ছিল গুলশান কার্যালয়ে। এইদিকে অবরোধের আগুনে পুড়ছে পুরো দেশ। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বাসে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পোড়া মানুষের আর্তনাদে ভারি হয়েছে হাসপাতালের বাতাস। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট উপচে পড়েছে আগুনে পোড়া মানুষে।

অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন গুলশান কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে আন্দোলনের আপডেট দিতেন বিএনপি নেতারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের‌ সঙ্গে কথা বলতেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এত আগুন, এত মৃত্যুর পরেও এক সপ্তাহ করে বাড়ানো হচ্ছিল অবরোধ। এভাবে কয়েক মাস চলার পর একটি প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে অবরোধের সমাপ্তি টানা হয়।

এইদিকে বিএনপি ছাড়াই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে যায়। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ফেরত আনতে পারেনি, নির্বাচনও ঠেকাতে পারেনি। উপরন্তু ২০১৩-২০১৫ সালের তিন বছরের জ্বালাও পোড়াওয়ে মারা গেছেন বহু মানুষ, আহত হয়েছেন অনেকে। এক পর্যায়ে জ্বালাও, পোড়াও অগ্নিসন্ত্রাসের দায় বিএনপি অস্বীকার করলো। এখনো করে।

বিএনপির ভাষ্য তাদের আন্দোলনে স্যাবোটাজ হয়েছে। সরকার দলীয় লোকজন আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপির ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। কিন্তু যখন তাদের অবরোধ চলছিল, দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর বোমাবাজি এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছিল—তখন কিন্তু বিএনপি বলেনি আমাদের আন্দোলনে স্যাবোটাজ হচ্ছে। আমাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অন্য কেউ গুলি ফুটাচ্ছে।

বরং তাদের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে এগুলোর প্রতি এক ধরনের প্রশ্রয়মূলক বক্তব্য ছিল। আন্দোলন শেষ হয়ে যাওয়ার দুয়েক বছর পর থেকে বিএনপি বলছে—আমাদের আন্দোলনে অন্য কেউ আলু পোড়া দিয়েছে। এই বক্তব্য কি এখন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে?

রাজনীতির অঙ্গনে কান পাতলে শোনা যায়, বেগম জিয়া এবং দলের সিনিয়র নেতারা চেয়েছিলেন ৭ জানুয়ারি ২০২৪ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিক। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একগুঁয়েমির কাছে তারা পরাজিত হয়েছেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আরেকটা ঘটনা ঘটেছিল। যা আমরা অনেকেই ভুলে যাই। তৎকালীন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সরকার প্রধান। তাতেও সাড়া দেয়নি বিরোধীদল হরতালের অজুহাত দেখিয়ে। এছাড়া সেই সময় কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাও পরে শুনেছেন দেশের মানুষ।

২০১৮ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে আসি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় বিএনপি, সেই দাবির মধ্যে অটল থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল। বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জোট করল বিএনপি। ফলাফল হলো অতি খারাপ। বিএনপির ভাষায় ২০১৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে এবং ২০১৪ সালে না গিয়ে তারা প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। হ্যাঁ, ২০১৮ সালের নির্বাচন ভালো হয়েছে এইকথা কেউ বলেন না। এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেও এই নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের চাপা অস্বস্তি রয়েছে। যদিও তারা মুখে স্বীকার করে না।

এইসব মাথায় রেখে বিএনপি দ্বাদশ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন জোরদার করেছে। বলেছে, যেকোনো মূল্যে তত্ত্বাবধায়ক আদায় করা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপি পারেনি। বরং ২৮ অক্টোবর ২০২৩-এর পর তারা ছিল একেবারেই ছন্নছাড়া অবস্থায়। হ্যাঁ, বিএনপি তাদের আন্দোলনে সরকারি দমন পীড়নের কথা বলে। আন্দোলন দমাতে রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহারের কথা বলে। কিন্তু কথা হলো, আন্দোলন জমাতে কে, কবে, কাকে ফুল বিছানো পথ তৈরি করে দেয়?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছিল ১৫ নভেম্বর ২০২৩। এরপর থেকেই লাগাতার হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল বিএনপি। ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ভোটের দিনও ছিল বিএনপির হরতাল। কিন্তু এসব কর্মসূচি খুব একটা জমেনি। এরমধ্যেই লন্ডন থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ঘোষণা দিলেন অসহযোগ আন্দোলনের। গ্যাস বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সেবাখাতের বিল না দিতে, মামলায় আদালতে হাজিরা না দিতে আহ্বান জানান।

এইদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্ররা তো বটেই দলের অনেক সিনিয়র নেতারাও জানতেনই না এমন কর্মসূচি আসছে। নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে, এরপর হরতাল তেমন সাড়া না পেয়ে অসহযোগের মতো চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণার বাস্তবতা যে নেই এটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপলব্ধিতে নেই।

রাজনীতির অঙ্গনে কান পাতলে শোনা যায়, বেগম জিয়া এবং দলের সিনিয়র নেতারা চেয়েছিলেন ৭ জানুয়ারি ২০২৪ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিক। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের একগুঁয়েমির কাছে তারা পরাজিত হয়েছেন। এছাড়া ভারতসহ বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশের কাছে তারেক রহমানকে গ্রহণযোগ্য করাতে পারেননি দলের নেতারা, অনেক চেষ্টা করেও। সেই ২০০৮ সালেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে রেখেছে তারেক রহমান গণতন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি। আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের সূত্র দিয়ে, তা জানে পুরো দুনিয়া।

এইদিকে এগিয়ে আসছে উপজেলা নির্বাচন। দুটি সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। বিএনপি কি এসব নির্বাচন থেকেও নিজেদের দূরে রাখবে? একের পর এক নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের কী বার্তা দিতে চাইছেন? নির্বাচনে অংশ নিলে অন্তত পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা চাঙা থাকে। দলের স্থানীয় কার্যালয়গুলো সরগরম থাকে। সংগঠন গোছানো এবং শক্তিশালী করার একটা মাধ্যম নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি সেই সুযোগ নিচ্ছে না। যে কারণে নিচ্ছে না, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়েও তারা চরমভাবে ব্যর্থ।

কথায় কথায় বিএনপি বলে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ভূমিধস জয় পাবে। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? ২০০৮ সালের নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি এটি বিএনপি কখনোই বলে না। কিন্তু সেই নির্বাচনে তারা সিট পেয়েছিল ৩০টি। তার মানে বিএনপির ভাষায় সর্বশেষ নিরপেক্ষ নির্বাচন ২০০৮—তাদের ফলাফল ৩০। পনের বছরে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে সেই প্রশ্ন কি বিএনপি নিজেদের করেছে?

শেষ কথা হলো, গণতন্ত্রে নির্বাচন বর্জন করে আসলে কিছু অর্জন হয় না। এই যে বিএনপির লাখো নেতা মামলার ঘানি নিয়ে ঘুরছেন, অনেকেই জেলে আছেন, তাদের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি বার্তা দিতে চাইছেন? দেশে থাকা দলের সক্রিয় নেতৃত্ব এবং তৃণমূল ও কর্মী সমর্থকদের মনের কথা না বুঝে লন্ডনে থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে দলকে কোথায় নেবে, তাই এখন দেখার বিষয়।

খান মুহাম্মদ রুমেল ।। গণমাধ্যমকর্মী