যদি বক্স অফিস হিট সিনেমার হিসাব করা হয় তাহলে অমিতাভ বচ্চনের ৫৭টি, রাজেশ খান্নার ৪২টি, সালমান খানের ৩৮টি আর শাহরুখ খানের ৩৫টির বিপরীতে ধর্মেন্দ্রর হিট ৭৫টি! যার মধ্যে ৬টি ব্লকবাস্টার আর ৭টি সুপার হিট! হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য তাই বলে। [সূত্র: ১]

এখন যেখানে মুক্তির আগেই মিলিয়ন রুপি কামিয়ে নিচ্ছে সিনেমাগুলো, মাসে মাসে ভাঙছে মিলিয়নের রেকর্ড। হিটের ওপর হিট, ব্লকবাস্টার হিট, সুপারডুপার হিটের তকমা জুটছে সিনেমায়, সেখানে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ভারতের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল সিনেমা কোনটা? এর মধ্যে ‘শোলে [Sholay, 1975]’-এর নাম থাকবে সর্বাগ্রে এবং এর আয়ও ছিল অঢেল।

৩ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি ১৯৭৫ সালের ১৫ কোটি রুপি আয় করেছিল। দেশের ২৮টি সিনেমা হলে টানা ৫০ সপ্তাহ ধরে চলেছিল। ১৯৭৫ সালে তা ছিল দারুণ ব্যাপার। [সূত্র: ২]

এখন যেমন জুটি হয় নায়ক আর নায়িকায়, সেই জুটি হয়েছিল ধর্মেন্দ্র-অমিতাভ। শোলের ‘ইয়ে দোস্তি, হাম নেহি তোরেঙ্গে’ গানটা এখনো উপভোগ্য। সেই জুটির একজন আজ পরপারে।

১৯৩৫ সালের ০৮ ডিসেম্বরের শীতে অবিভক্ত ভারতে পাঞ্জাবের এক গ্রামে মধ্যবিত্ত এক জাট-শিখ পরিবারে জন্মেছিলেন ধর্মেন্দ্র। দূরের স্কুলে যেতেন হেঁটে আর স্বপ্ন দেখতেন সিনেমার। এর মধ্যেই রায়ট, দেশভাগ আর স্বাধীনতা। ১৯৪৮ সালে মুক্তি পেল দিলীপ কুমারের শহীদ [Shaheed, 1948]। ধর্মেন্দ্র তখন স্কুলের বালক, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সেই থেকে প্রতিদিন সকালে আয়নার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করা—‘আমি কি কখনো দিলীপ কুমারের মতো হতে পারবো?’

দশম শ্রেণির ইঁচড়ে পাকা কিশোরের মাথায় দিলীপ কুমারের ভূত ঢুকলে তা বের করা কঠিন। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর জীবন তখন তারচেয়েও কঠিন ছিল। কোনোমতে কলেজ পাস করে রেলের কেরানির চাকরি নিতে হলো, বেতন ১২৫ রুপি। আর মায়ের কাছে ঘ্যানঘ্যান, দিলীপ কুমার হওয়ার বাসনা।

১৯৫৮ সালে যখন ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট হান্টের কম্পিটিশনের সার্কুলার ছড়ালো শহরে বন্দরে গ্রামে, তখন পুরো ভারত থেকে সিনেমা প্রত্যাশীরা ছুটল কম্পিটিশনে। রেলের কেরানি ধর্মেন্দ্রও। পরে তিনি নিজেই বলেছিলেন, ‘মেহবুব স্টুডিওয় প্রতিযোগিতার ফল বেরোনোর দিন চিন্তায় আমার গলা থেকে জলও নামছিল না। আমার সঙ্গে আরও অনেক প্রতিভাশালী অভিনেতা অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারাও নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিলেন। কে জিতবে কেউ জানতো না।’ কিন্তু অবশেষে জানা গেল যে সব প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে ধর্মেন্দ্রই জয়ী হয়েছেন!

১৯৬৬ সালে তখনকার সুপারস্টার মীনা কুমারীর বিপরীতে ‘ফুল অউর পাত্থর’ সিনেমায় ধর্মেন্দ্র হাজির হলেন নতুন রূপে। শার্ট খুলে গ্রিক দেবতাদের মতো শরীর দেখিয়ে কাঁপিয়ে দেন পুরো ভারতবর্ষ। সে বছর সবচেয়ে বেশি আয় করে এই সিনেমা।

জীবনে কোনোদিন থিয়েটার নাটক না করা, রেলের চাকরি করা গ্রামের ছেলে ধর্মেন্দ্রর নতুন ঠিকানা হলো আলো ঝলমলে রূপালী শহর মায়ানগরী মুম্বাই, তখন নাম ছিল বোম্বে! কম্পিটিশনের সুবাদেই একটা ফিল্মে চান্স হওয়ার কথা, হলোও। কিন্তু সেটা মুক্তি পেল অনেক দেরিতে। কী আর করা, ঘোরো পরিচালকের পেছন পেছন, স্টুডিওর দ্বারে দ্বারে। একখানা চাকরি ছিল রেলের, নায়ক হওয়ার বাসনায় সেটাও ছেড়ে আসতে হয়েছে, ছেড়ে আসতে হয়েছে গ্রামের স্বাদ আর পরিবারের সান্নিধ্য, বিফল হয়ে ফিরলে মুখ থাকবে? কিন্তু মুখ থাকলে যে তাতে খাবারও জোটাতে হয়!

একটা ড্রিলিং ফার্মে ২০০ রুপি বেতনে চাকরি নিয়ে গ্যারেজে শুয়েও তবু নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখার সাধ কমেনি ধর্মেন্দ্রর। একের পর এক সিনেমা করে গেছেন, যার কোনোটাই সাফল্যের মুখ দেখেনি। ওদিকে হাতে টাকা নেই মোটে, দুই বেলা জোটে না খাবার। শশী কাপুর আর মনোজ কুমারের দয়ায় মাঝে মধ্যে খাবার আর গাড়িভাড়া জোটে। কিন্তু এভাবে আর ক’দিন? গোটা বিশেক ফ্লপ সিনেমা যার স্টকে, তাকে কে আর নতুন কাজ দেবে? শেষ পর্যন্ত যখন গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, ঠেকালেন তখনকার হিট নায়ক মনোজ কুমার।

১৯৬৬ সালে তখনকার সুপারস্টার মীনা কুমারীর বিপরীতে ‘ফুল অউর পাত্থর [Phool Aur Patthar, 1966]’ সিনেমায় ধর্মেন্দ্র হাজির হলেন নতুন রূপে। শার্ট খুলে গ্রিক দেবতাদের মতো শরীর দেখিয়ে কাঁপিয়ে দেন পুরো ভারতবর্ষ। সে বছর সবচেয়ে বেশি আয় করে এই সিনেমা।

এর আগে কয়েকটা সিনেমাতে পরিচিতি পেলেও অ্যাকশন হিরো ধর্মেন্দ্রর জনপ্রিয়তার শুরু এখান থেকেই। বলিউডের এক নম্বর অ্যাকশন হিরো হয়ে উঠতে থাকেন ক্রমশ। ম্যাচো পুরুষালি লুক দিয়ে বদলে দিতে শুরু করেন ভারতীয় সিনেমার মানচিত্র, ‘নায়ক’ চরিত্রের ধারণাই বদলে দিতে থাকেন।

দিলীপ কুমারের পর ধর্মেন্দ্রই হয়ে উঠতে থাকেন বলিউডের নতুন সুপারস্টার, নতুন আইকন। যদিও তখনো পুরোদমে রাজত্ব করছেন দেব আনন্দ, সুনীল দত্ত আর শাম্মী কাপুররা। তবু সত্তরের দশকেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরুষদের একজন বানিয়ে দিয়েছিল, তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘হি-ম্যান অব ইন্ডিয়া’।

গোটা বিশেক অসফল সিনেমার পর হুট করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যাওয়ার পেছনে একটা ‘ভাগ্যের জামা’র গল্প আছে বলে অনেকে মনে করে। ১৯৬৮ সালে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ‘মেরে হামদাম মেরে দোস্ত [Mere Hamdam Mere Dost, 1968]’ সিনেমাতে শিরোনাম সংগীতে, পরের বছর আশা পারেখের সঙ্গে ‘আয়া শাওন ঝুমকে [Aya Sawan Jhoom Ke, 1969]’ সিনেমাতে ‘সাথিয়া নহীঁ জানা’ গানে আর তারও পরের বছর রাখীর সঙ্গে ‘জীবন মৃত্যু [Jeevan Mrityu, 1970]’ সিনেমাতে ‘ঝিলমিল সিতারোঁ কা’ গানে তিনি হলুদ স্ট্রাইপের একটা জামা রিপিট করেছিলেন। তিনটা সিনেমাই সুপারহিট হয়েছিল।

তবে ধর্মেন্দ্রর নামের পরে ‘সুপারহিট’, ‘মেগা হিট’, ’ব্লকবাস্টার’ সব তকমা একবারে বসানো যাবে ‘শোলে’ সিনেমার বেলায়। পুলিশ অফিসার ঠাকুরের আমন্ত্রণে কর্ণাটকের দক্ষিণ রাজ্য রামনগরে ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে’ গাইতে গাইতে আসে জয় আর বীরু নামের দুই ছিঁচকে অপরাধী। বাস্তবে যারা ধর্মেন্দ্র আর অমিতাভ নামে পরিচিত। ইতিমধ্যে ইন্ডাস্ট্রিতে দুজনেই বেশ হিট নায়ক।

সিনেমায় যারা পরস্পরের হরিহর আত্মা, নানা ধরনের অপরাধে ওস্তাদ। টাঙ্গাওয়ালী বাসন্তীর সঙ্গে জমে ওঠে বীরুর। আর ঠাকুরের বিধবা পুত্রবধূ রাধার প্রেমে মজে জয়। আর মুখোমুখি হয় ভয়ঙ্কর গাব্বার সিংয়ের। প্রায় আড়াই বছর ধরে শুটিং করেন রমেশ সিপ্পি।

১৯৭৫ সালে যখন মুক্তি পায় ‘শোলে’, হয়ে ওঠে ইতিহাস। মিনার্ভা থিয়েটারে চলে টানা পাঁচ বছর। ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের জরিপে শীর্ষ দশ ভারতীয় চলচ্চিত্র তালিকার এক নম্বরে স্থান পায় এই সিনেমা, ফিল্ম ফেয়ারের অর্ধশত বার্ষিকীতে ‘শোলে'কে ভারতের ৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের প্রধান তারকা কে? নিশ্চিতভাবেই ধর্মেন্দ্র, সবচেয়ে বেশি সম্মানিও তিনিই পেয়েছিলেন। এবছর, মানে ২০২৫ সালে যখন বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘শোলে’র হাফসেঞ্চুরি, তখন বিদায় নিলেন ‘শোলে’র বীর ‘বীরু’—ধর্মেন্দ্র!

‘শোলে’ মুক্তির আগেই অমিতাভ বিয়ে করে নিয়েছিলেন রাধারূপী নায়িকা জয়া বচ্চনকে। তাই ওদিকে কোনো ঝামেলা ছিল না। কিন্তু ঝামেলা হলো অন্য জুটির বেলায়। মুম্বাইয়ের নুন জিভে নেওয়ার আগেই, সেই ১৯ বছর বয়সেই পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর, প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। সে ঘরে ছিল চার সন্তান! আর বাসন্তীরূপে যে হেমা মালিনী, তার রূপের ছটায় তখন বলিউড মোহিত, তিনি তখন ড্রিমগার্ল।

১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান [Tum Haseen Main Jawaan, 1970]’ সিনেমা করতে গিয়ে শুরু, মাঝখানে সীতা অউর গীতা। প্রেম ততক্ষণে জমে ক্ষীর। পরে এক সাক্ষাৎকারে হেমা জানিয়েছিলেন যে, প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্রই তার মনের মানুষ, ধর্মেন্দ্রের সঙ্গেই সারা জীবন কাটাতে চান তিনি। কিন্তু ওদিকে জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ে ততদিনে পাকা।

কথিত আছে মদ্যপ অবস্থায় সেই অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জীব কুমারও। যিনি আবার শোলে সিনেমাতে ঠাকুরের ভূমিকায়। শোলের সেটে হেমাকে পেয়ে আবারও প্রস্তাব পুনরুত্থাপন করেছিলেন সঞ্জীব। পরিচালক রমেশ সিপ্পিকে নালিশ দিয়ে ধর্মেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জীব আর হেমার কোনো দৃশ্য যেন পুরো সিনেমাতে না থাকে।

প্রায় দশ বছর প্রেমের পর ১৯৮০ সালে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। আগের স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে ডিভোর্স না দিয়েই। কথিত আছে, হেমা মালিনীকে বিয়ে করতে ধর্মত্যাগ করে মুসলিম হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র, যদিও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করেছেন। হেমাকে নিয়ে ধর্মেন্দ্র উর্দুতে ‘শের’ লিখতেন। নিজেই বলেছেন ‘আমি একজন শায়ের’। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে কখনো সেই শেরগুলো প্রকাশ্যে আসবে।

২০২৫ সালে যখন বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘শোলে’র হাফসেঞ্চুরি, তখন বিদায় নিলেন ‘শোলে’র বীর ‘বীরু’—ধর্মেন্দ্র!

৮৯ বছরের জীবনে ৬০ বছরেরও বেশি সময়ে প্রায় ৩০০ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। যে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করে মেগাহিট হয়েছিলেন, সেই অমিতাভ বচ্চনের নাতনী অগস্ত্য নন্দার সিনেমায় অভিনয় করেছেন সর্বশেষ, যা মুক্তি পাবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেমন উপহার দিয়েছেন ভারতের সবচেয়ে বেশি সুপারহিট সিনেমা, তেমনি আবার তার ভাগেই জুটেছে প্রায় দেড়শটি ফ্লপ সিনেমাও! তবু ধর্মেন্দ্রর অবদান আর প্রাপ্তি কোনোটাই কম নয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে ধর্মেন্দ্রর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৩৫ কোটি রূপি, বাংলাদেশি টাকায় যা ৪৬০ কোটি টাকা। একসময় ভারতের সবচেয়ে বেশি সম্মানী নেওয়া হিরো ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তবে শুধু ফিল্মের আয় তা নয়, ব্যবসাও করেছেন। ‘হি-ম্যান’ ছাড়াও তার আরেকটি খেতাব ছিল, ‘গরম ধরম’। এই নামেই তিনি খুলেছিলেন বলিউড থিমের রেস্তোরাঁ চেইন ‘গরম ধরম ধাবা’ আর ‘হি-ম্যান রেস্তোরা’।

লোনাভালায় আছে শতকোটি রুপির বিশাল ফার্ম হাউজ, যার বদৌলতে তিনি শেষ জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন শৈশব কৈশোরের কৃষক জীবনে। মহারাষ্ট্রেও আছে ১৭ কোটি রুপির আবাদি ও অনাবাদি জমি। আর আছে কিছু ভিন্টেজ গাড়ি, যার মূল্যও কোটি ছাড়িয়ে। নিজের ছেলেদের হিরো বানাতে চালু করেছেন ‘বিজেতা ফিল্মস’ নামের প্রোডাকশন হাউজও। রাজনীতিও করেছেন, বিজেপির টিকিটে লোকসভার সদস্যও হয়েছেন।

চলচ্চিত্র খাতে অনেক সম্মাননা তো আছেই, সবার ওপরে আছে ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব ‘পদ্মভূষণ’।

আজকের বলিউড হিরোদের যে হি-ম্যানশিপ, তার গোড়াপত্তন করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বিশটা ফ্লপ সিনেমা করার পরও মাটি কামড়ে টিকে থেকে শেষ পর্যন্ত সুপারস্টার হওয়া আর পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে সবচেয়ে বেশি বক্স অফিস সুপারহিট সিনেমা যে উপহার দেওয়া যায়, তা দেখিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। নিজেই ইন্ডাস্ট্রি হয়ে ওঠা, ভারতীয় সিনেমার ধরণ বদলে ফেলা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো।  

তথ্যসূত্র:

১। https://www.hindustantimes.com/bangla/entertainment/dharmendra-was-bollywoods-most-successful-hero-with-75-hits-more-than-rajesh-khanna-amitabh-shah-rukh-271763975496096.html

২। https://timesofindia.indiatimes.com/entertainment/hindi/bollywood/box-office/sholay-box-office-the-amitabh-bachchan-dharmendra-film-ran-in-28-theatres-for-50-weeks-collected-rs-15-crore-heres-why-the-film-remains-indias-biggest-blockbuster-till-date/articleshow/123410970.cms

নজরুল সৈয়দ : সংস্কৃতিকর্মী