ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল কোনগুলো, তাদের নিরাপত্তা প্রস্তুতি কেমন?
ভূমিকম্প কী?
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ কেঁপে ওঠা বা ঝাঁকুনি। আমাদের পৃথিবী কয়েকটি বিশাল টুকরা বা টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত, যা সবসময় খুব ধীরে ধীরে নড়ে। এই প্লেটগুলোর সীমানায় যখন দুটি প্লেট একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায় বা ঘষা লাগে, তখন সেখানে প্রচণ্ড শক্তি জমা হতে থাকে—অনেকটা রাবার ব্যান্ড টানার মতো।
চাপ অত্যধিক বেড়ে গেলে প্লেটগুলো হঠাৎ করে সরে যায়, আর তখন জমে থাকা সেই শক্তি হঠাৎ মুক্তি পায়। মুক্ত শক্তি তরঙ্গ আকারে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং আমরা ভূপৃষ্ঠে সেই কম্পন অনুভব করি। যেখান থেকে কম্পন শুরু হয়, তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলা হয়। এই প্রাকৃতিক ঘটনাই হলো ভূমিকম্প, যা অল্প সময়েই প্রচুর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পের কারণ
আসলে ভূমিকম্পকে একটি ট্র্যাজেডি বলা যেতে পারে। ভূমিকম্পের মতো বিশাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষ সরাসরি দায়ী নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বড় ও ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের মূল কারণ হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, যা কোটি কোটি বছর ধরে চলমান। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ভূতাত্ত্বিক এবং পৃথিবীর গভীর তাপ ও চাপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা মানুষের কোনো কার্যকলাপ—বাড়ি নির্মাণ বা শিল্প উৎপাদন—দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পকে সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবেই গণ্য করা হয়।
তবে একথা মানতে হবে যে মানুষের কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপ খুব সীমিত ক্ষেত্রে এবং স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র কম্পন সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, গভীর খনি খনন, তেল বা গ্যাস উত্তোলনের পর বর্জ্য তরল উচ্চ চাপে ভূগর্ভে প্রবেশ করানো, কিংবা বিশাল জলাধার বা বাঁধ নির্মাণের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়া।
বিজ্ঞাপন
এই ধরনের মানবসৃষ্ট কম্পনগুলো মূলত দুর্বল প্রকৃতির এবং সাধারণত টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়াজনিত প্রাকৃতিক ভূমিকম্পের মতো বড় বা ধ্বংসাত্মক হয় না। যদিও মানুষ ক্ষুদ্র কম্পনের কারণ হতে পারে, বিশ্বজুড়ে যে বড় ভূমিকম্পগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়, তার জন্য মানুষ দায়ী নয়; সেগুলোর কারণ সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক।
ভয়াবহ ভূমিকম্প
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পগুলোকে দুটি প্রধান ধারায় ভাগ করা যায়। মাত্রার দিক থেকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ছিল ১৯৬০ সালের চিলির ভালদিভিয়া ভূমিকম্প, যার মাত্রা ছিল ৯.৫ রিখটার স্কেল। এই প্রলয়ঙ্করী কম্পনের কারণে চিলিতে প্রায় ১,৬৫৫ জন মানুষ নিহত হয় এবং বিশাল এলাকা জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। তবে এর সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব ছিল প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে সৃষ্টি হওয়া সুনামি, যা সুদূর জাপান ও ফিলিপাইন পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
...এই তিনটি ভূমিকম্পই এমন ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলে ঘটেছে, যা আগেই ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই এগুলো সম্পূর্ণ আকস্মিক বলা যায় না বরং এগুলো পৃথিবীর স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ারই অংশ।
অন্যদিকে, মানব ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি ছিল ১৫৫৬ সালের চীনের শানসি ভূমিকম্প, যার মাত্রা ছিল আনুমানিক ৮.০ রিখটার স্কেল। এই ভূমিকম্পে প্রায় ৮ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্বল অবকাঠামো ও ঘনবসতির কারণে তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার হলেও এটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি ঘটায়।
এছাড়া আধুনিক ইতিহাসের আরেকটি ভয়াবহ দুর্যোগ হলো ২০০৪ সালের সুমাত্রা ভূমিকম্প (৯.১ রিখটার স্কেল) এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামি, যেখানে ১৪টি দেশে প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষের জীবনহানি ঘটেছিল।
এই তিনটি ভূমিকম্পই এমন ভূতাত্ত্বিক অঞ্চলে ঘটেছে, যা আগেই ভূমিকম্পপ্রবণ হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই এগুলো সম্পূর্ণ আকস্মিক বলা যায় না বরং এগুলো পৃথিবীর স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ারই অংশ।
১৯৬০ সালের চিলির ভালদিভিয়া ভূমিকম্প (৯.৫ রিখটার) এবং ২০০৪ সালের সুমাত্রা ভূমিকম্প (৯.১ রিখটার) উভয়ই পৃথিবীর প্রধান ভূমিকম্প বলয়—যথাক্রমে ‘রিং অব ফায়ার’ এবং ‘আলপাইড বলয়’—এর সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ঘটেছে, যা মূলত দুটি প্লেটের তীব্র সংঘর্ষের অঞ্চল। এসব এলাকায় শক্তি সঞ্চয় ও মুক্তি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে, ১৫৫৬ সালের চীনের শানসি ভূমিকম্প (৮.০ রিখটার) প্লেটের সরাসরি সীমানায় না হলেও, এটি ইউরেশীয় প্লেটের অভ্যন্তরে অবস্থিত প্রাচীন চ্যুতি রেখা বরাবর অভ্যন্তরীণ চাপমুক্তির ফলাফল ছিল। যদিও ভূমিকম্পের সঠিক সময় আগাম বলা অসম্ভব, ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই অঞ্চলগুলোয় বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বিজ্ঞানীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত ছিল এবং এসব ঘটনা সেই পূর্ব-বিদ্যমান প্রবণতারই প্রতিফলন।
কোথায় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
প্রথমত, সার্কাম-প্যাসিফিক সিসমিক বেল্ট, যা ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত, মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশের অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এই বলয়ে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ ভূমিকম্প ঘটে এবং এটি চিলি, জাপান, পেরু, ফিলিপাইন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাষ্ট্রগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।
দ্বিতীয়ত, আলপাইড ভূমিকম্প বলয়—যা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা থেকে শুরু হয়ে হিমালয় অতিক্রম করে দক্ষিণ ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বলয়ে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলো অবস্থিত। তাই কখন ভূমিকম্প হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও, কোথায় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি—তা বৈজ্ঞানিকভাবে জানা সম্ভব।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় কীভাবে?
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোয় অবস্থিত দেশগুলো ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং জীবন রক্ষার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব ব্যবস্থা প্রধানত নির্মাণশৈলী, প্রস্তুতি এবং প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণে।
প্রথমত, ভূমিকম্প-সহনশীল বিল্ডিং কোড। যেমন জাপান, চিলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মতো অঞ্চলগুলোয় অত্যন্ত কঠোর বিল্ডিং কোড বা নির্মাণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব বিধিমালায় ভবনগুলোকে নির্দিষ্ট মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার মতো করে নকশা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ড্যাম্পিং ও আইসোলেশন প্রযুক্তি। উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলে (যেমন জাপান) বহুতল ভবনে বেস আইসোলেটর (Base Isolators) এবং শক ড্যাম্পার (Shock Dampers) ব্যবহার করা হয়। বেস আইসোলেটর মূলত ভবন ও ভূমির ভিত্তির মধ্যে স্থাপন করা হয়, যা ভূমিকম্পের কম্পন শোষণ করে এবং ভবনের মূল কাঠামোকে তীব্র কম্পন থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, ড্যাম্পার হলো কম্পন-শোষণকারী যন্ত্র, যা তীব্র কম্পনের সময় শক্তি শোষণ করে কাঠামোকে সুরক্ষিত রাখে।
তৃতীয়ত, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা (Early Warning Systems – EEWS)। জাপান, মেক্সিকো এবং তাইওয়ানের মতো দেশে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই সিস্টেম ভূমিকম্পের সময় উৎপন্ন দ্রুতগতির প্রাথমিক তরঙ্গ (P-wave) শনাক্ত করে, যার ফলে ধীরগতির কিন্তু ধ্বংসাত্মক গৌণ তরঙ্গ (S-wave) পৌঁছানোর আগেই ব্যবহারকারীদের যেমন স্কুল, হাসপাতাল, ট্রেনে সতর্কবার্তা পাঠানো যায়। এর ফলে গ্যাসলাইন বন্ধ করা, দ্রুতগতির ট্রেন থামানো বা মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
এছাড়া সুনামি সতর্কতা কেন্দ্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র’ (Pacific Tsunami Warning Center)–এর মতো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কেন্দ্র সমুদ্রতলদেশে বড় ভূমিকম্প হলে দ্রুত সুনামি সতর্কতা জারি করে।
নিয়মিত মহড়া কি জরুরি?
এইসব ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি হলো নিয়মিত মহড়া। জাপানসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশে স্কুল, অফিস ও জনবহুল স্থানে নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া (Drill) অনুষ্ঠিত হয়। এসব রাষ্ট্রের সরকার নাগরিকদের জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে উৎসাহিত করে যেমন একটি জরুরি কিট (খাবার, পানি, ফার্স্ট এইড) রাখা এবং কমিউনিটি পর্যায়েও উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের পরিস্থিতি কেমন?
বাংলাদেশ মূলত আলপাইড ভূমিকম্প বলয়ের সান্নিধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের পূর্বাংশ ও উত্তরাঞ্চল আলপাইড ভূমিকম্প বলয়ের (যা সুমাত্রা থেকে শুরু হয়ে হিমালয় হয়ে তুরস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত) অত্যন্ত কাছাকাছি। ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট চাপ হিমালয় পর্বতমালা এবং বাংলাদেশের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সঞ্চিত হচ্ছে। এই চাপের নিঃসরণ যেকোনো মুহূর্তে একটি প্রলয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
সার্কাম-প্যাসিফিক সিসমিক বেল্ট, যা ‘রিং অফ ফায়ার’ নামে পরিচিত, মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশের অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। এই বলয়ে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ ভূমিকম্প ঘটে...
এছাড়াও রয়েছে সক্রিয় ফল্ট লাইন (Active Fault Lines)। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং সীমান্তের কাছে একাধিক সক্রিয় চ্যুতি রেখা আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault)—যা বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে অবস্থিত এবং বিজ্ঞানীদের মতে এখান থেকে ভবিষ্যতে একটি বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। আর আছে সিঙ্গেল ফল্ট (Single Fault), যা দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত।
কোথায় ভূমিকম্প হতে পারে?
এই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের নাম প্রথম সারিতেই রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবনে কোনো না কোনোভাবে দুর্বল নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে অথবা যথাযথ নকশা কিংবা মাটি পরীক্ষার (Soil Test) তথ্য ছাড়াই নির্মিত হয়েছে।
প্রস্তুতিপর্ব
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (DDM) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো নীতিমালায় মহড়ার গুরুত্ব উল্লেখ করলেও বাস্তবে সারা দেশে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয় না। বিশেষ দিবস বা নির্দিষ্ট প্রকল্পের অধীনে কিছু ক্ষেত্রে মাঠ মহড়া (Field Drill) বা সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
এখন সময় এসেছে অন্তত এই মহড়াগুলো নিয়মিত করার। কারণ, বিল্ডিং কোডের বিষয়টি এখন আর পুরোপুরি দেশের নিয়ন্ত্রণে নেই, আর সবার জন্য জরুরি খাদ্যদ্রব্য, চিকিৎসা বা তাৎক্ষণিক উদ্ধারসেবা এসব প্রত্যাশা বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে অযৌক্তিক। আমাদের প্রেক্ষাপটে এগুলো অনেকটাই অবাস্তব ভাবনা।
তাই নিয়মিত মহড়া আয়োজন করে অন্তত আমরা আসন্ন কোনো বড় বিপর্যয়ে কিছু প্রাণ রক্ষা করতে পারব।
ড. এ কে এম মাহমুদুল হক : অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়