জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক শাসন ও সুস্থ স্বাভাবিক রাষ্ট্রের প্রাণ গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এ দেশকে বলেছিলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। সেই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিজের নাম লিখিয়েছে। পা রেখেছে উন্নয়নের মহাসড়কে, পৌঁছে গেছে দিগন্তহীন মহাকাশে।

২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, কৃষক রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করে অস্থিতিশীল দেশকে শান্ত করা, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনসহ অর্থনৈতিক গতি আনয়ন। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সাহসী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে আজ তা বাস্তবে রুপলাভ করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের অন্যতম সফলতা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ। শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এটি। বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজ দৃঢ়তায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে জননেত্রী দেখিয়েছেন নেতৃত্বের দৃঢ়তা এবং বাংলাদেশের সক্ষমতা। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর চালু করা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যৌথ অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সার্কভুক্ত ৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সরাসরি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা ভিডিও বার্তা ও শুভেচ্ছা বাণী পাঠান।

পরিশেষে একটি উপমা দিয়ে শেষ করতে চাই, প্রাচীন গ্রিক ও রোমান কাহিনিতে দেখা যেত প্রত্যেক রাজা প্রতি বছর তাদের নিজ নিজ রাজ্য থেকে একজন ‘চ্যাম্পিয়ন’ বাছাই করতেন, যার বীরত্ব ও অর্জন নিয়ে লেখা হতো ইতিহাস। জনপ্রিয় হয়ে উঠতেন চ্যাম্পিয়নরা। তেমনি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী পদক্ষেপ এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে সময়োপযোগী পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে। ইতিহাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন উজ্জ্বল হয়ে, তার কর্মময় অধ্যায় ইতিহাসের পাতায় রবে অম্লান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার বীরত্ব ও অর্জন অনুপ্রেরণা দিবে জাতিকে।

শত বছরের নিষ্পেষিত জাতি মুখ থুবড়ে পড়তে পড়তে এবার উঠেছে জেগে। ইতিবাচক এ যাত্রাকে রোধে এ সাধ্য কার! ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা পারেনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত চেতনা ও পিতা মুজিবের নাম মুছে ফেলতে, আজও তা পারবে না। কেননা, পিতা মুজিব জাতির অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি অমর, অবিস্মরণীয়। তার তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে।

এন আই আহমেদ সৈকত ।। উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ