ছবি : সংগৃহীত

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ও অদ্বিতীয় হয়ে উঠছে। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তাদের জন্য বিষয়টি আনন্দের হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগারদের জন্যও টানা ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি সবসময় স্বস্তিদায়ক নয়। মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও আওয়ামী লীগ এখন ঘর সামলাতেই ব্যস্ত।

২০২১ সাল আওয়ামী লীগের জন্য একই সাথে স্বস্তি এবং অস্বস্তিতে কেটেছে। মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেরা যা ইচ্ছা তাই করতে পেরেছে। কিন্তু এই যা ইচ্ছা তাই করতে পারা, দলের অস্বস্তির মূল কারণ।

২০২১ সাল শুরুই হয়েছিল দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জার দ্বন্দ্ব দিয়ে। এই দ্বন্দ্ব সামাল দিতে ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগ ব্যর্থই হয়েছে বলা যায়। কাদের মির্জা স্থানীয় নেতা হলেও দলের সাধারণ সম্পাদকের ভাই হওয়ায়, তার বক্তব্য জাতীয় পর্যায়ে দলকে বিব্রত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে কাদের মির্জা সরব ছিলেন। গণমাধ্যমও তাকে যথেষ্টই গুরুত্ব দিয়েছে। তবে একজন ব্যক্তির দ্বন্দ্বের চেয়ে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের দ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগকে শুধু বিব্রত নয়, শঙ্কিত করেছে। 

দেশে এখন ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে অনেক আগেই আওয়ামী লীগ ছেলেখেলায় পরিণত করেছে। নৌকা পেলেই নির্বাচনে জয় নিশ্চিত, বাংলাদেশে এমন একটি ধারণা হয়ে গিয়েছিল। তাই বিভিন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে নৌকা প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারেই বেশি মনোযোগী হয়। যেকোনো উপায়ে নৌকা পাওয়াই তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে যায়। নৌকা পাওয়ার এই প্রতিযোগিতায় জিততে তারা হেন কোনো রাস্তা নেই, যাতে হাঁটেনি। তাই আওয়ামী লীগের ঘরের ভেতরে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষ ঢুকে যায়।

সৈয়দ আশরাফ এসে বদলে দিয়েছিলেন সবকিছু। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সরকারি দলের উন্নয়নের অঙ্গীকার পৌঁছে যায় তৃণমূলে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ সবার বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিলেন।

প্রার্থীর মূল যোগ্যতা হয়ে যায় অর্থ। যার টাকা বেশি, তিনিই মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে যান। কিন্তু ‘নৌকা পেলেই জয়’ এই ধারণা এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে। মাঠে বিএনপি না থাকলেও নৌকা ডুবতে থাকে একের পর এক ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী তো হেরেছেই, অনেক জায়গায় নৌকা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ‘নৌকা’র এই বিপর্যয় ঘটছে আওয়ামী লীগারদের কারণেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছেই।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বিশাল রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি বিভিন্ন সময়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে। অনেক সঙ্কট মোকাবিলা করেছে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাসানী মাত্র ৮ বছরের মাথায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে অনেকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে গিয়েছিলেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের টিকে থাকা নিয়েই অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সব আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। ৭৫-এর পর ৮১ সালে শেখ হাসিনার ফিরে আসা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে পেরেছিল তৃণমূলে বিস্তৃত সাংগঠনিক ভিত্তি এবং মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণেই।

শেখ হাসিনা অনেকবার তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের এই অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেই আজ তৃণমূলে হাহাকার। নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লড়াই। ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগ বিপর্যয় টের পাচ্ছে না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে ধস নামছে, তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এই বিপর্যয়ে আওয়ামী লীগে একজন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আজ বড় বেশি অভাব। 

সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি, পিতার আদর্শের উত্তরসূরি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শত প্রলোভনেও খুনিদের সঙ্গে আপস করেননি জাতীয় চার নেতা। আর তার মূল্য দিতে হয়েছে তাদের জীবন দিয়ে। নিরাপদ কারাগারেও খুনিদের বুলেট যাদের খুঁজে নিয়েছিল, সেই চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারে যিনি ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি; তার সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পিতা যেমন কখনো আপস করেননি, সন্তানও তেমনি। তবে সৈয়দ আশরাফ আর দশজন রাজনীতিবিদের মতো ছিলেন না। আসলে তিনি রাজনীতির মানুষই ছিলেন না। সৈয়দ আশরাফ বরাবরই উদাসী, ভাবুক, কবি প্রকৃতির।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু এবং ৩ নভেম্বর তার পিতাসহ চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর সৈয়দ আশরাফ লন্ডনে চলে যান। সেখানেই সংসার পাতেন, চলে তার নিভৃত জীবন। ৯৬ সালের নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা তাকে দেশে আনেন, রাজনীতিতে নামান, এমপি বানান, পরে ঠাঁই দেন মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এসবে তার মন লাগে না, তার উড়ু উড়ু মন। রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফের মন লাগে ১/১১-এর সময়।

শুধু ১/১১-এর সময় নয়; আওয়ামী লীগ সরকারের বড় বিপদ এসেছিল ২০১৩ সালের ৫ মে। সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক লাখ হেফাজত সমর্থক মতিঝিল শাপলা চত্বর দখলে নিয়েছিল। সৈয়দ আশরাফের সময়োপযোগী, দৃঢ় সিদ্ধান্তে প্রায় বিনা রক্তপাতে সেদিন তাদের মতিঝিল থেকে সরানো গিয়েছিল।

৭৫-এর মতো আবার যখন আওয়ামী লীগ বিপদের মুখে, তখন শক্ত হাতে হাল ধরেন সৈয়দ আশরাফ। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর বাইরে থাকা নেতারা যখন তাকে দল থেকে মাইনাস করতে নানান সংস্কার তত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত, গ্রেফতার হওয়া নেতারা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা সব সাক্ষ্য দিচ্ছেন; তখন বুকভরা সাহস নিয়ে সৈয়দ আশরাফ দাঁড়িয়ে যান আরেক উন্নত শির জিল্লুর রহমানের পাশে।

আবদুল জলিল গ্রেফতার হওয়ার পর দায়িত্ব পান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের। দল ও দেশের সেই কঠিন সময়ে উত্তাল নদী পেরুতে নৌকার হাল ধরেন দক্ষ মাঝির মতো। ২০০৮ সালে জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নিয়ম অনুযায়ী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ পেলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। কিন্তু এমন সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ কখনো দেখেনি। এমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কেউ কস্মিনকালেও দেখেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাসায় ভিড়, এই তদবির, সেই তদবির। কাউকে কাজ করে দিয়ে, কাউকে মুখে আশ্বাস দিয়ে, তিন রকমের কালি দিয়ে তদবিরের কাগজে সই করে, কাউকে হাসি দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হয়। পার্টি অফিসে গেলে তার পেছনে সার্বক্ষণিক মিছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মানে মন্ত্রী, এমপি আর স্থানীয় নেতাদের রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, উন্নয়নের তদবির। আগে-পরে আমরা এমনটাই দেখে এসেছি।

সৈয়দ আশরাফ এসে বদলে দিয়েছিলেন সবকিছু। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সরকারি দলের উন্নয়নের অঙ্গীকার পৌঁছে যায় তৃণমূলে। কিন্তু সৈয়দ আশরাফ সবার বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিলেন। এতদিন পর দল ক্ষমতায় এসেছে, নেতারা পদ-পদবি পাবেন, কাজ পাবেন, টেন্ডার পাবেন। কিন্তু পাবেন কীভাবে, সৈয়দ আশরাফই তো হাওয়া। বেলা পর্যন্ত ঘুমান। ইচ্ছা হলে অফিসে যান, নইলে ফাইল ডেকে পাঠান। পার্টি অফিসে যান কালেভদ্রে।

মন্ত্রণালয়ের আমলারা তাকে পান না, নেতাকর্মীরা পান না, সাংবাদিকরা তাকে পান না; এমনকি শেখ হাসিনার ফোনও নাকি ধরতেন না তিনি। তার কথা ছিল, উন্নয়ন যা হওয়ার, তা সুষমভাবে হবে; তদবির লাগবে কেন? যোগ্যতা অনুযায়ী পদ-পদবি মিলবে, তদবির লাগবে কেন? কিন্তু এমন সাধু-পুরুষ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সত্যি আনফিট।

আওয়ামী লীগের মতো পুরনো একটি দল; তৃণমূল পর্যন্ত যে দলের কর্মী; যে দলে ‘চান্দাবাজ-ধান্দাবাজ’, ত্যাগী-হাইব্রিড সব আছে; সে দল আসলে সৈয়দ আশরাফকে দিয়ে চালানো অসম্ভব। নেতাকর্মীদের অনেক ক্ষোভ ছিল তার ওপর। শেখ হাসিনার ভালোবাসার ঢাল তাকে আগলে রেখেছে সমসময়। এত ভালোবাসার পরও শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফকে বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারেননি। তাই তো প্রথমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে, পরে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাকে সরে যেতে হয়।

আজ যখন বাংলাদেশে সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি আস্ফালন করে; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূল চেতনায় আঘাত করে; তখন সৈয়দ আশরাফের অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

সৈয়দ আশরাফ নিজেকে বাংলাদেশের রাজনীতির মান নামিয়ে আনতে পারেননি। আবার বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিজের মানে তুলে আনতে পারেননি। হয়তো না পারার এ অভিমান থেকেই অকালে দূর আকাশের তারা হারিয়ে গেছেন বাংলাদেশের রাজনীতির সত্যিকারের তারকা।

সৈয়দ আশরাফ আনফিট হলেও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের মতো দলের জন্য একদম পারফেক্ট। তিনি দিনভর পরিশ্রম করেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও ওবায়দুল কাদের সবচেয়ে সক্রিয়। পারলে তিনি দিনে ২/৩ বার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আর সৈয়দ আশরাফ বলতেন বছরে ২/৩ বার।

হাসিমুখে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় যখন সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি অনুভূতির নাম’, তখন আবেগের ঢেউ খেলে যায় সারা দেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। এই নেতাকর্মীরা সৈয়দ আশরাফের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল, এটা যেমন সত্যি; আবার তারা তাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসত।

শুধু ১/১১-এর সময় নয়; আওয়ামী লীগ সরকারের বড় বিপদ এসেছিল ২০১৩ সালের ৫ মে। সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়ে কয়েক লাখ হেফাজত সমর্থক মতিঝিল শাপলা চত্বর দখলে নিয়েছিল। সৈয়দ আশরাফের সময়োপযোগী, দৃঢ় সিদ্ধান্তে প্রায় বিনা রক্তপাতে সেদিন তাদের মতিঝিল থেকে সরানো গিয়েছিল। আজ যখন বাংলাদেশে সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি আস্ফালন করে; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূল চেতনায় আঘাত করে; তখন সৈয়দ আশরাফের অভাব তীব্রভাবে অনুভূত হয়।

অর্থ, বাড়ি, গাড়ি, বিলাসিতা, পদ, পদবি, ক্ষমতার তৃষ্ণা সৈয়দ আশরাফের ছিল না। তার তৃষ্ণা ছিল জ্ঞানের। সৈয়দ আশরাফ ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির একমাত্র উদাহরণ, ওয়ান পিস। তার মতো কাউকে অতীতে দেখিনি, নিকট ভবিষ্যতে দেখব—তেমন আশাও করি না।

আমি প্রবলভাবে একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, দেশকে এগিয়ে নিতে চাই বিশুদ্ধ রাজনীতি। সৈয়দ আশরাফ ছিলেন তেমনই একজন। তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছিলেন সাধু-পুরুষ। কিন্তু আজ যখন আওয়ামী লীগ কোন্দলে জর্জরিত, তখন একজন সৈয়দ আশরাফের বড্ড অভাব সংগঠনে। তবে মুশকিল হলো, আওয়ামী লীগে একজন সৈয়দ আশরাফ তো নেইই, বরং সৈয়দ আশরাফ থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টাও নেই। মাত্র তিন বছরেই সৈয়দ আশরাফ আজ আওয়ামী লীগে এক ভুলে যাওয়া নাম।

আওয়ামী লীগ যার কাছে নিছক রাজনৈতিক সংগঠন নয়, অনুভূতির নাম; তাকে স্মরণ করার বা তার কাছ থেকে আদর্শের শিক্ষা নেওয়ার কেউ নেই। যে আওয়ামী লীগ সৈয়দ আশরাফের কাছে এক অনুভূতির নাম; হাইব্রিড, চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজের দখলে চলে যাওয়া সেই আওয়ামী লীগই যেন আজ এক অনুভূতিহীন দলের নাম।

প্রভাষ আমিন ।। বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ