বিএনপির আন্দোলনে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় জোয়ার আসবে না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ ছবি: সংগৃহীত
কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বিএনপি নেতারা হাঁকডাক দিচ্ছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। টেমস নদীর ওপার থেকে ডাকা আন্দোলনে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় জোয়ার আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্যই আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি বারবার পরাজিত। অপরদিকে শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নে জনগণ খুশি। এটাই বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ। সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে বিএনপির পরাজয় হয়েছে তাদের অপরাজনীতির জন্য বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি নেতাদের সরকারের পদত্যাগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত এক যুগ ধরে তাদের এ দাবি শুনছি। কিন্তু তাদের আন্দোলন এখন জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। সরকারের পদত্যাগ নয় বরং বিএনপির মত দলকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য তাদের টপ টু বটম নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।
আল জাজিরার বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের নেপথ্যে দেশ-বিদেশে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা হচ্ছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়েছিল। যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আল জাজিরার আজগুবি রিপোর্টও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। দেশে-বিদেশে একটি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল সরকার ও আওয়ামী লীগের ঐক্যে ফাটল ধরাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দল। এ দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ। এ ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ীতে হামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, সিএমপি কমিশনার ও ফেনীর পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ অফিসে নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ডাকার বিষয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। দলীয় অফিসে কোনো নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ডাকার দৃষ্টান্ত নেই। কাউকে সাংগঠনিক প্রয়োজন হলে অফিস থেকে এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে ডাকা হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব শাখায় সাংগঠনিক সংকট রয়েছে সেসব শাখায় ২১ ফেব্রুয়ারির পর অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সঙ্কট নিরসনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এইউএ/ওএফ