দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতিতে বেসামাল কোটি কোটি মানুষের জন্য বাজেটে স্বস্তির কোনো খবর নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেছেন, বিশাল ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেটের দায় শেষ পর্যন্ত মেটাতে হবে অসহায় জনগণকে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, ধার করে ঘি খাওয়ার এ বাজেটে দেশের জনগণের জন্য বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতিতে পুড়ে মরা বেসামাল কোটি কোটি মানুষের জন্য তেমন কোনো স্বস্তির খবর নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের উৎপাদন আমদানি, বিপণন, বিক্রয় ও বণ্টনে সরকারের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ বাজেটে দৃশ্যমান নয়।
 
বাজেট সামষ্টিক অর্থনীতির গতি সঞ্চারেও বাস্তবায়নযোগ্য কার্যকরী কোনো আশাবাদ দেখাতে পারেনি বলেও দাবি করেন এ বাম নেতা। সাইফুল হক বলেন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি রোধ করে মানুষের প্রকৃত আয় ও কর্মসংস্থান কীভাবে বাড়ানো যাবে, বাজেটে তার বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেই। বাজেটে উৎপাদক শ্রেণী শ্রমিকেরা উপেক্ষিত।

বাজেটে কৃষি খাতে অগ্রাধিকারের কথা বলা হলেও বরাদ্দ অপ্রতুল বলে উল্লেখ করে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সাইফুল হক বলেন, দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রকৃত উদ্যোক্তাদের দিকেও বাজেটে বিশেষ মনোযোগ নেই। বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্প খাত পুরোপুরি অবহেলিত। স্বাস্থ্য-শিক্ষাখাতের বরাদ্দও কম।
 
সাইফুল হক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের মেগা প্রকল্পসমূহের ধার মেটাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। অথচ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পই এখন অপ্রয়োজনীয়। এ বাম নেতা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এবারো লাখ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ধার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থনীতিতে এর মারাত্মক নেতিবাচক অভিঘাত রয়েছে। সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এএইচআর/আরএইচ