বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

জিয়াউর রহমানের খেতাব কারও দয়ায় পাওয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আগে বলেছি, জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) সিদ্ধান্ত কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না। দেশের মানুষের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না। কেউ চাইলেও জিয়াউর রহমানের অবদানকে খাটো করে দেখাতে পারবে না। এ খেতাব তো তিনি অর্জন করেছেন। এটি কারও দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করে ও স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এটি অর্জন করেছেন। আমরা মনে করি যে, জিয়াউর রহমানের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না।

সিঙ্গাপুরে টিকা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেখানে বিদেশিদের টিকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানকার অবস্থা আগে দেখি। রেজিস্ট্রেশন করে চেষ্টা করব। আমি অসুস্থ, এখনো সুস্থ হইনি। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে তারপর ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফিরছি।

সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। তার মৃত্যু সংবাদে আমি মর্মাহত। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে বলা যেতে পারে যে, অ্যা ম্যান অব ইন্টিগ্রিটি, ম্যান অব অনেস্টি অ্যান্ড ডিগনিটি। ব্যাংকিং সেক্টরে তিনি ছিলেন একজন দিকপাল। জাতি অত্যন্ত যোগ্য দুজন মানুষকে হারালো।

সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরের টার্মিনালের হুইল চেয়ারে করে গাড়ির কাছে আসেন এবং হুইল চেয়ারে বসেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গত ৩০ জানুয়ারি স্ত্রী-কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব। সেখানে ফারার পার্ক হসপিটালে তার চিকিৎসা হয়।

২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিভ আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল। এ রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশ না থাকায় প্রতি বছরই ফলোআপ করতে তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়।

এএইচআর/আরএইচ