মুশতাকের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সেইসঙ্গে দোষীদের শাস্তি, প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলার বিচার এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতাদের অবিলম্বে মুক্তিরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, লেখক মুশদতাক আহমেদের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড। তাকে স্বাধীন মতপ্রকাশের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৯ মাস কারান্তরীণ রাখা হয়। হাই সিকিউরিটি প্রিজনার তকমা দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। তার জামিন পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাকে হত্যার দায় ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারকে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতি দেশের মানুষের কোনো আস্থা নেই। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখনও অনেকেই কারাবন্দি আছেন। খুলনার পাটকল শ্রমিক আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিনকে এ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সব কারাবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা আবারও উন্মোচিত মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মুশতাক আহমেদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দমনে পুলিশ যে বর্বর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে তাতে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে। শুক্রবার শাহবাগে প্রতিবাদ মিছিলে হামলা করে ছাত্রদের যারা রক্তাক্ত করেছে তাদের বিচার এদেশের জনগণের আদালতে হবে। গ্রফতারকৃত ৭ ছাত্রনেতাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদও জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক প্রমুখ।
এমএইচএন/এইচকে