বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরান ঢাকায়। সদরঘাটসহ শ্যাম বাজার, শাখারী বাজার, লক্ষ্মীবাজার, রায়সাহেব বাজার কোতয়ালী ও সূত্রাপুর বংশালে চোখে পড়ে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা ও আওয়ামী-ছাত্রলীগের মিছিল।

শুক্রবার (৯ডিসেম্বর) পুরান ঢাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একাধিক মিছিলের মাধ্যমে সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। 

সদরঘাটসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল। থেমে থেমে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের মিছিল চোখে পড়েছে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মূল ফটকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। 

জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, যেকোনো ধরনের অরাজকতা রুখতে আমরা সদা জাগ্রত আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ মসৃণ রাখতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।

জবি শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন বলেন, জামায়াত ও ছাত্রদলসহ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা যেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুরান ঢাকায় কোনো প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। যেকোনো পরিস্থিতি রুখতে আমরা প্রস্তুত। 

তবে এদিন আওয়ামী-ছাত্রলীগের মিছিল ও অবস্থান দেখা গেলেও বিএনপি ও  ছাত্রদলের কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। পুরান ঢাকায় যান চলাচলও ছিল সীমিত। 

সার্বিক বিষয়ে লালবাগ জোনের এডিসি মুহিত সেরনিয়াবাত বলেন, কোথাও যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি।

এমএল/কেএ