বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য করলে তার জবাব দেবে আওয়ামী লীগ। প্রয়োজনে হাত গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি-জামায়াত, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। অনেকে তাদের নির্যাতন নিপীড়নে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কানাডার মতো একটি শান্তিপ্রিয় দেশ কীভাবে একজন ফেরারি আসামি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, কূটনীতিকরা আমাদের দেশের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আপনাদের সেই অধিকার নেই। আপনারা আমাদের বন্ধু, বন্ধুর মতোই থাকেন।

আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে পাগল হয়ে গেছে। এখন বলে যুদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে। আপনারা কি উৎখাত করবেন। আমরাই আপনাদের দেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করব।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গত নভেম্বর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের মাসব্যাপী কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেন ১০ ডিসেম্বর কোনো কাউন্সিল হবে না। বিএনপিকে এ দিন সমাবেশ করতে দিতে হবে। চোরেরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। তারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে জনসমাবেশ করবে। তাদের সমাবেশে যারা সমর্থন দিয়েছে, তারা কারা? তারা হচ্ছে এক দলে এক নেতা। বিএনপি রাজপথে জনদুর্ভোগ কিংবা নৈরাজ্য করলে হাত গুড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমার ঢাকাবাসী ভাইয়েরা। আপনাদের আতঙ্কের কোনো কারণ নাই। আওয়ামী লীগ পাহারা দেবে। কোনো আতঙ্কের কারণ নাই। ওরা যদি কারও গায়ে হাত দেয়, ওই হাত ভেঙে দিতে হবে, পুড়িয়ে দিতে হবে। ফজরের নামাজ পড়ে পাহারা দিতে হবে। ওরা যেন কোনো উচ্চবাচ্য করতে না পারে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, রাজপথে আবারও বোমা মেরে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে বিএনপি কোনো আইনকানুন মানে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে অপকর্মে লিপ্ত ছিল। শিশু বক্তা রফিকুল মাদানী মাহফিলের মঞ্চে উঠে বলেছিলেন, আমি এই সরকার মানি না, সংবিধান মানি না, রাষ্ট্রপতিকে মানি না, প্রধানমন্ত্রীকে মানি না। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গিয়েছিল তখন ওই নেতা বললেন, স্যার মঞ্চে উঠে হুশ হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিএনপির নেতারাও হুশ হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, এই মাস বিজয়ের মাস, দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে এই দেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আজকে বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য চালিয়ে মানুষ হত্যা করবে আর আমরা চুপ করে বসে থাকব। এই সুযোগ আপনাদের আর দেওয়া হবে না।

এমএসআই/এসএসএইচ/