প্রেস ক্লাবে ছাত্রদলের আলোচনা সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ জুন) বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পূর্বনির্ধারিত এ আলোচনা সভা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শুরুর পর বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করে মিলনায়তনের ভেতরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এতে অনেকটা বিচলিত হয়ে পড়েন অন্য নেতাকর্মীরা। উপস্থিত সিনিয়র নেতারা তাদের থামানোর চেষ্টা করে। বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় ৭/৮ মিনিটের মতো সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ঘটনা ঘটে। এরপর কর্মীদের শান্ত করে ছাত্রদল নেতারা।
বিজ্ঞাপন
উত্তেজনা থামাতে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি আমি তাদের কারও দোষ দেবো না, উৎসাহিতও করবো না। কিন্তু তাদের দায়িত্ব আছে, তারা যদি সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিকে সহযোগিতা না করে তাহলে ছাত্রদলের এমন প্রোগ্রাম কিন্তু সুন্দরভাবে চলতে পারে না। এখানে আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। সামনে কঠিন আন্দোলন করার জন্য আমরা প্রস্তুত।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এত জনপ্রিয় একটি সংগঠনকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। আপনারা কোথাও কিন্তু স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন না। কালকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের ওপর কিভাবে অত্যাচার করা হয়েছে সেটা প্রতিহত করার জন্য আপনাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করব, আপনারা সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন, স্লোগান দিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে বিনষ্ট করেন। আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন, অবশ্যই দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আপাতত এর চাইতে আর বেশি কিছু বলছি না। স্লোগান আমরা মাঠে দেবো, ময়দানে দেবো, বিশ্ববিদ্যালয় দেবো।
আলোচনা সভায় উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
এদিকে হলটির দায়িত্বে থাকা নীলা ডেকোরেশনের মালিক এইচ এম ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, আজকের অনুষ্ঠানের জন্য প্রায় ৪০০ চেয়ার ভাড়া নিয়েছিল সংগঠনটি। এখন পর্যন্ত ৩৫ থেকে ৪০টি এর মতো চেয়ার ভাঙা পাওয়া গেছে। মিলনায়তনের একটি কাচের দরজা খুলে ফেলেছে তারা। অনুষ্ঠান শেষ হলে বোঝা যাবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এমএইচএন/এসএম