মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে একটি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। সমস্ত দেশে লুটপাটের রাজনীতি তৈরি করেছে। আজকে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে বলতে চাই, নির্বাচন কমিশনের যদি ন্যূনতম লজ্জা থাকে, তাহলে আপনাদের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করে উচিৎ।’ 

সোমবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এ দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়েছি, সরিয়ে দিতে বলেছি। কিন্তু শুধু আমরা রাজনীতিবিদরা নই, দেশের যারা বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী আছেন, দেশের যে এনজিও আছে এমনকি বিদেশের সংস্থাগুলো বলছে- এই নির্বাচন কমিশনকে না সরালে দেশে কখনওই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। যখন এই কমিশন গঠন করা হয়, তখন আমরা বলেছিলাম সম্পূর্ণ পক্ষপাতিত্বভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন কখনওই সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘এই কমিশন শুরুতে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি শুধু তাই নয়, তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সেই যোগ্যতা নেই যে, তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। জাতীয় নির্বাচন গেছে, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা একইভাবে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। ভোট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর সিইসি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। এতই সুষ্ঠ হয় যে কোনো কোনো কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগের বেশিও ভোট পড়ে যায়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আরেকটি বিশেষ কালো দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্যে দিয়ে দেশে সেনা সমর্থিত একটি অবৈধ ও বেআইনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। যারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সচেতনভাবে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করেছিল। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথ ধরে আজকে আওয়ামী লীগ একইভাবে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।’

এ সময় সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনও সময় আছে আপনারা পদত্যাগ করুন। নাহলে এ দেশের মানুষ জাগ্রত হয়ে বাধ্য করবে (পদত্যাগ করাতে)। আসুন সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য বৃহত্তর ঐক্য গঠন করি। আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকার সরানোর আন্দোলন করি।’

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।

এইচএন/এফআর