বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনি হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা জসীমউদ্দীন মওদুদ এ তথ্য জানান।

মওদুদ আহমদের ব্যক্তিগত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্যার এখন ভালো আছেন। আজকে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন কথাবার্তা বলতে পারছেন।

তিনি আরও জানান, গত ৬ জানুয়ারি মওদুদ আহমদের হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি  হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন বলা আশা করা যাচ্ছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেসমেকার হলো ব্যাটারিচালিত হাতঘড়ির মতো একটি জেনারেটর। অপারেশন করে মওদুদ আহমদের শরীরে স্থাপন করা হয়েছে। পেসমেকারের বিশেষ ধরনের তার হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই যন্ত্র হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক ও নিয়মিত রাখে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি প্রফেসর শাহাবুদ্দিন আহমেদ তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ, দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

মওদুদ আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। দুবারই তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠনের সময় প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের একজন ছিলেন মওদুদ আহমদ। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আরেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর তার দল জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন মওদুদ আহমদ। এরশাদের সরকারে প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে আবার বিএনপিতে যোগ দিয়ে খালেদা জিয়ার সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন মওদুদ আহমদ।

এএইচআর/এইচকে