রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার ভ্যাকসিন আগে নিলে অসুবিধা কোথায়— এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এ সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা শুরু করেছে। ভারতের ভ্যাকসিন দিয়ে অনেকে মারা গেছে (রিজভীর দাবি)। এজন্য আমরা বলেছি, নিরাপত্তা প্রমাণের জন্য ক্ষমতাসীনদের উচিত আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্যাকসিন আগে নিয়েছেন এবং ডাক্তার পাউসিও ভ্যাকসিন আগে নিয়েছিল।’

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি আগে নিলে অসুবিধা কোথায়? তারা আগে নিলে জনগণের আস্থা বাড়বে ভ্যাকসিনের ওপর।

বিএনপিকে আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে— তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য হলো বিএনপিকে নিধন করা। খুন-গুম দিয়ে বিএনপিকে নিধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার জন্য বিএনপিকে আগে দিয়ে নিধনের চেষ্টা। এ সরকার মানুষের মরা-বাঁচা নিয়ে তিরস্কারও শুরু করেছে।’

আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, কোকো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। তবে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ছিলেন। এ কারণে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

রিজভী বলেন, ‘কোকোর লাশ যখন দেশে আনা হয়েছিল, তখন একদিকে খুন-গুম-অত্যাচার-নিপীড়ন আর অন্যদিকে তার জানাজায় মানুষের ঢল। এত অত্যাচার, নির্যাতনের মাঝেও মানুষের ঢল দেখে সেদিনই শেখ হাসিনা বার্তা পেয়েছিলেন। সেদিন থেকেই বিএনপির ওপর অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আরও অত্যাচারী হয়ে উঠেছেন।’

আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে রিজভী আরও বলেন, ‘তার মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। কারণ তার মৃত্যুর আগে মা খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। তার বাসার সামনে বালুর ট্রাক, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও পানির লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। মায়ের এমন অবস্থা কি কোনো সন্তান সহ্য করতে পারে? প্রকারান্তরে আরাফাত রহমান কোকোকে হত্যা করেছে এ আওয়ামী লীগ।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এএইচআর/এমএআর/