বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে কথা বলবে না। কারণ, তারাতো ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভাসছে। তারা বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। সকল দিক থেকে বাংলাদেশ একটি অশান্তির দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক দল আয়োজিত প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা খেয়াল করেছি এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বহু লোক না খেয়ে থাকে। বেশকিছু ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে এসেছে, তারা না খেয়ে থাকার জন্য আত্মহত্যা করেছে। আজ ২০২১ সালে বহু লোক না খেয়ে মারা যাচ্ছে, এই কথাটি মিডিয়াতে আসে না। আজকে মিডিয়াকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে। আজকে মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। তাই অনেক কিছুই আমাদের দৃষ্টিতে আসছে না।

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, দয়া করে মুখ সামাল দিন। সামাল দিয়ে কথা বলবেন। নইলে কোথাও যদি আপনাদের একা পেয়ে যায় পাবলিক, তাহলে কিন্তু পালাতে পারবেন না। কথা বলার সময় সাবধানে কথা বলবেন। বিএনপির লোকেরা কিন্তু মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়, এটা হচ্ছে রাজনৈতিক চক্রান্ত। দেশের মানুষের মুখে কুলুপ দেওয়ার জন্য এই রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই সরকার সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, এটি আমি বলব না। এ সরকার সামাজিক সম্প্রীতি চায় না।

তিনি বলেন, আগামীতে আমরা নির্বাচিত সরকার চাই। নির্বাচিত সরকার হলেই এই দেশের অশান্তি থামবে। নির্বাচিত সরকার এদেশের ভালো-মন্দ দেখবে। আওয়ামী লীগকে দিয়ে এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।

মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনি যে তামাশার চক্রান্ত করছেন, তা আপনার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এই অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পূজামণ্ডপের ঘটনা ঘটিয়ে চক্রান্তমূলকভাবে সম্প্রতি নষ্ট করছেন। এটা হতে দিবো না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষক দলের এই মানববন্ধনকে সাধুবাদ জানাই। তারা জনগণের দাবি আদায়ে এগিয়ে যাবে।

এমএইচএন/এইচকে