জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমরা সবাই ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী চক্রের ধ্বংস কামনা করছি। আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, উগ্রবাদীদের আক্রমণ বাংলাদেশে আর হবে না এর নিশ্চয়তা দেওয়া। এটাই এখন গুরুতর রাজনৈতিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে ধর্মান্ধ শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল আয়োজিত ‌এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইনু বলেন, বিএনপি যতদিন ধর্মান্ধদের মাথার ওপর ছাতা ধরে রাখবে, ততদিন উগ্রবাদীদের আক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। বাংলাদেশও হুমকির মুখে থাকবে। এই ধর্মান্ধ চক্রের একটা সংযোগ আছে। এদের সম্পৃক্ততা আছে রাজাকারের সঙ্গে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে, পাকিস্তানপন্থীর সঙ্গে এবং সর্বশেষ এই ধর্মান্ধ চক্রান্তের রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে বিএনপির সঙ্গে।

তিনি বলেন, দেশে ধর্মান্ধদের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে হলে অসাম্প্রদায়িক সরকারের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক প্রশাসন দরকার। একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক অঙ্গন, দল ও সংবিধান দরকার। এই জিনিসগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, তিন ধরনের শত্রু আমাদের চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে, আমরা যাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছি। এরা হলো- উগ্র ধর্মাবাদী জামায়াত-শিবির সাম্প্রদায়িক চক্র, এটা দৃশ্যমান শত্রু। আর ভেতরের শত্রু হচ্ছে, প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু সাম্প্রদায়িক কর্মচারী। তৃতীয় শত্রু রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক অঙ্গনের ভেতর অনুপ্রবেশকারী কতিপয় সাম্প্রদায়িক শয়তান। এই তিন শত্রুর কারণে বারবার হামলা হচ্ছে। হামলা ঠেকাতেও আমরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। ধর্মান্ধদের আক্রমণ ঠেকাতে হলে এই তিন শত্রু নির্মূল করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বরুয়া প্রমুখ।

এমএইচএন/ওএফ