বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। 

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাসে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শনী এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা।

বিজয়ের আনন্দকে পূর্ণতা দিতে এ দিন স্থানীয় সময় বিকেলে এক পৃথক অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে দূতাবাসে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির শুরু করেন মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং ইয়াঙ্গুন প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। 
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর লিখিত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তার নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বাঙালির অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বিজয় দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রুখে দিতে এক হয়ে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কোরের ডীন। এ সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধু কর্নারটি ঘুরে দেখেন।

দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যে এটি অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কয়েকটি দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার প্রদর্শিত পথে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কর্নার ভূমিকা রাখবে।

এমএইচএস/এফআর