মেধা-হৃদয় দিয়ে স্বাধীনতাকে উপলব্ধি করতে হবে
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. খায়রুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা গামা কাদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি আব্দুল জলিল।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শফিকুল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়ার সহ-সভাপতি ডা. লাভলী রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফাহাদ অভি, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির প্রধানীয়া, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মশিউর রহমান হৃদয়, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা তাজমিরা আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা অপু সারোয়ার, যুবলীগ নেতা বীর খান প্রমুখ।
সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তারপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সব শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কেবল উপভোগ নয়, মেধা ও হৃদয় দিয়ে স্বাধীনতাকে উপলব্ধি করতে হবে। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তারা বলেন, বিশ্বায়নের যুগে প্রবাসী হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। বিদেশে বসে যারা ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের হুশিয়ার করে দিয়ে বক্তারা বলেন, এসব অপকর্ম করে করে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
এ সময় কমিউনিটিতে দীর্ঘ ৪০ বছর বিরামহীন নেতৃত্ব দেওয়ায় গামা কাদিরকে স্বীকৃতি জানিয়েছে আওয়ামী পরিবার। এর অংশ হিসেবে গামা আব্দুল কাদিরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট করতালি দিয়ে তাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন।
আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিবেশন করা হয়। সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত শিক্ষক রোকসানার পরিচালনায় ‘কিশলয় কচিকাঁচা’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশু-কিশোরদের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মন মাতানো গানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা উজ্জীবিত এবং বিমোহিত হয়েছেন।
এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন ইভানা, মারিয়া, শাহানা চৌধুরী এবং রকি। কবিতা আবৃত্তি করেছেন আরিফ। সঙ্গীত ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিঠু। নৃত্য পরিবেশন করেন সিডনির বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী অর্পিতা সোম। সবশেষে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।
এমএইচএস