করোনা: কানাডায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৪ হাজার
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কানাডায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিশ্বের অন্য সকল দেশের মতোই চাপে রয়েছে কানাডা। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তো কমছেই না বরং প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এরইমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কানাডায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার।
এখন পর্যন্ত কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ এক হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৫৪ জন। তবে দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও একেবারে কম নয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৩৯৬ জন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ- অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আর একইসঙ্গে ব্যাপকভাবে চাপ বাড়ছে দেশটির হাসপাতাল ও নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রগুলোতে।
অন্টারিও প্রদেশের বিভিন্ন শহরকে ইতোমধ্যে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় সীমিতসংখ্যক লোকজনের চলাচল এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে অন্টারিও সরকার কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সকল জরুরি আদেশ ও বিধিনিষেধ আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত রিওপেনিং অন্টারিও অ্যাক্ট (আরওএ)’র অধীনে সকল আদেশের মেয়াদ বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সেবা মানুষ যেন নিরাপদে পেতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে বলেও জানানো হয়েছে।
অন্টারিও প্রদেশের সলিসিটর জেনারেল সিলভিয়া জোনস বলেন,‘কোভিড-১৯ মহামারির এই পর্যায়ে অন্টারিওর মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।’
তিনি আরো বলেন,‘একটি নিরাপদ ও কার্যকর টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত আমাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। সকল অন্টারিয়ান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় না আসা পর্যন্ত প্রদেশের জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে।’
একদিকে শীতের প্রকোপ অন্যদিকে করোনাভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন সবকিছুর পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে, এমন দিনেরই অপেক্ষায় কানাডাবাসী।
টিএম