স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাহমুদ খন্দকার

স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ খন্দকারের কার্যকাল শেষ হয়েছে গত রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। তবে করোনার কারণে বিদায়কালে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক সংগঠনসহ সকলের উদ্দেশে বিদায়ী অনুভূতি প্রকাশ করেন।

প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তার প্রচেষ্টা ও কার্যক্রমের ইতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার দেওয়া হয় সেগুলো ছিল- স্পেন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা, স্পেন-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ এবং ফলপ্রসূ করা, রপ্তানি আয় বাড়ানো, বিনিয়োগ বাড়ানো, স্পেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সহায়তা করা এবং প্রবাসে তাদের কল্যাণে দায়িত্ব পালন করা।

তিনি মনে করেন, বর্তমানে স্পেন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত সন্তোষজনক। বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত সাড়ে পাঁচ বছরে স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও নিবিড়, ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ হয়েছে। প্রতিবছরই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হাসিল করতে সমর্থ হয়েছি। তবে সর্বশেষ করোনার কারণে শেষের দিকে গতিধারা কিছুটা কমেছে। ভবিষ্যতে সেটাও গতিশীল হয়ে যাবে।

কনস্যুলার সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম চেষ্টা করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় গিয়ে কনস্যুলার সেবা পৌঁছে দিতে। এ ক্ষেত্রে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বার্সেলোনা, মালাগা, টেনেরিফ, পালমা দে মায়োর্কা, বিলবাও-এ কনস্যুলার ক্যাম্পের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

করোনা মহামারির কারণে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক স্পেনে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মরদেহ বাংলাদেশে পরিবহনের খরচ সরকারিভাবে বহনের চেষ্টার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এক্ষেত্রে স্পেনের বাংলাদেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে স্পেন, উত্তর মেসোডোনিয়া ও মন্টিনেগ্রো এই তিন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাহমুদ খন্দকার। তার সময়েই স্পেনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট সিস্টেম এমআরপি চালু হয় এবং স্পেনের বাণিজ্যিক শহর বার্সেলোনায় দূতাবাস টিম এক অথবা দুই মাস অন্তর অন্তর কনস্যুলার সেবা দেওয়ার কার্যক্রম চালু করে।

এফআর