বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদি নারীর মৃত্যুদণ্ড
সৌদি আরবে হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশি নারী আবিরন বেগম
বাংলাদেশের প্রবাসী গৃহকর্মী আবিরন বেগম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সৌদি গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন বলে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুনির্দিষ্টভাবে ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার কারণে প্রধান আসামি গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানিকে আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহকর্তা বাসেম সালেমের বিরুদ্ধে আলামত ধ্বংসের অভিযোগ, আবিরন বেগমকে নিজ বাসার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানো ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় পৃথক অভিযোগে মোট তিন বছর দুই মাস কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হয়।
মামলার অপর আসামি সৌদি দম্পতির কিশোর ছেলে ওয়ালিদ বাসেম সালেমের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান আদালত। তবে আবিরন বেগমকে বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করায় তাকে সাত মাস কিশোর সংশোধনাগারে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে আবিরনের মৃত্যুতে আদালত দুঃখ প্রকাশ করেন। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সৌদি আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেন।
২০১৯ সালের ২৪ মার্চ রিয়াদে আজিজিয়ায় আবিরনের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে এটি হত্যাকাণ্ড বলে হাসপাতালের ফরেনসিক প্রতিবেদনে জানা যায়। রিয়াদের ক্রিমিনাল কোর্টের ছয় নম্বর আদালতে আবিরন বেগম হত্যা মামলা চালানোর জন্য দূতাবাসের শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব সফিকুল ইসলাম ও আইন সহায়তাকারী সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আবিরন বেগম হত্যা মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করায় সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রায়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এনআই/আরএইচ/এফআর