ক্যানবেরায় ভিন্ন ভাষা-ভাষীদের নিয়ে একুশ উদযাপন
অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপনে তেলোপিয়া পার্কে মানুকা সার্কিট ও নিউ সাউথ ওয়েলস স্ট্রীটের ক্রসরোডে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভেসারটি, রাজনীতিবিদ এলিষ্টার কো, ভারত ও রাশিয়াসহ দশজন দূতাবাস প্রধান, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীরা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান সকল ভাষা শহীদ ও ভাষা সংগ্রামীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি ঝুঁকির মুখে থাকা মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আন্দোলনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বহু সংস্কৃতির ধারক অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তারা আর্থ-সামাজিক অর্জনে এবং ভাষার সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তারা বর্তমান বিশ্বের অস্থিরতা মোকাবিলার জন্য বহু সংস্কৃতিবাদ ও ভাষার অন্তর্ভুক্তির ওপর জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন সন্ধ্যায় ক্যানবেরার সিআইসিতে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে হাইকমিশনারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আড়াই শতাধিক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এনআই/এমএইচএস