মালয়েশিয়ার দূর প্রদেশে থাকা প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে হাইকমিশন। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের পাসপোর্ট। 

করোনা সংক্রমণরোধে মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে প্রবাসীদের হয়রানি ও যাতায়াতের ঝামেলা এড়াতে এমন উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার গোলাম সারোওয়ার। ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
 
এর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের এ হাইকমিশনার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে দ্রুত ও সহজভাবে পাসপোর্ট সার্ভিস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। 

মহামারির কারণে চলাচল সহজ না হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে এসে পাসপোর্ট নেওয়াও ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এর আগে ডাকযোগে পাসপোর্ট আবেদন নেওয়া শুরু করে হাইকমিশন। এ সুবিধা চালু হলে আর পাসপোর্টের জন্য কাউকে হাইকমিশনে আসতে হবে না। এ ধরনের সহজ ও ঝামেলামুক্ত সেবা পাওয়ার দাবি প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের। 

ইতোমধ্যেই হাইকমিশন অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের অগ্রগতি জানা, এনরোলমেন্ট আইডি জানা, পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত কি না এবং কত তারিখে ডেলিভারি নেবে এমন সেবা দিচ্ছে। ফলে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে আবেদনকারী সব সুবিধা পাচ্ছে। 

তবে পাসপোর্ট ফি দেওয়ার ঝামেলা এখনো রয়ে গেছে! মালয়েশিয়ায় ফি পরিশোধে রয়েছে উন্নত ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক সিস্টেম। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত অন্যান্য দূতাবাস সেই সিস্টেম ব্যাবহার করলেও বাংলাদেশ হাইকমিশন এখনও এ ডিজিটাল সুবিধা চালু করেনি। ভারত দূতাবাসের ম্যানুয়াল ফি দেওয়ার সিস্টেম গত বছর পরিবর্তন করে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার সিস্টেম চালু করেছে। এখন বাকি থাকল বাংলাদেশ হাইকমিশন। প্রবাসীদের এ দাবি দ্রুতই পূরণ করা হবে বলে হাইকমিশন সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এ তিনমাসে আসা এক লাখ ১০ হাজার আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াই শেষ করা হয়েছে। পাসপোর্ট আবেদন ডাকযোগে গ্রহণ ও বিতরণ করা হলে অনেক সুবিধা হবে এবং হাইকমিশনের সার্ভিসে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

এদিকে, পাসপোর্টের ব্যাপারে দালালের প্ররোচণায় পড়ে প্রতারিত না হয়ে সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে সংযুক্ত থেকে যথাসময়ে পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্যাদি জেনে সেবা নেওয়ার অনুরোধ করেছে হাইকমিশন।

এসএম