করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা সরকার। এর অংশ হিসেবে মিউনিসিপ্যালিটির গণপরিবহন ব্যবস্থায় ১৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আগামী আট বছরে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। বিনিয়োগের বড় অংশ পেতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

কানাডার টরন্টোতে নতুন পরিবহন অবকাঠামো তৈরিতে ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যে দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। একে যুগান্তকারী বিনিয়োগ উল্লেখ করে টরন্টো মেয়র জন টরি বলেন, টরন্টো ও আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থার জন্য এটা বিরাট খবর।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস ঘোষিত তহবিলের ন্যায্য অংশই টরন্টো পাবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য তা যথেষ্ট হবে। নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ, যানবাহন ও অন্যান্য ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, কর্মসংস্থান এবং সবুজ নগরী গড়ে তুলতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। 

কানাডায় করোনার কালো থাবায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে এয়ারলাইনস ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা অন্যতম। লকডাউনের শিথিলতায় রেস্টুরেন্ট খুলতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসা এখনও চাঙা হয়নি। 

গত বছরের ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে অন্টারিওজুড়ে লকডাউন কার্যকর হয়। এতে বিপুল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়ে। ফোর্ড সরকার এরপর দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১২ জানুয়ারি স্টে-অ্যাট-হোম অর্ডার জারি করে। 

এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড বলেন, আমরা অর্থনীতি সচল করতে চাই, বিশেষ করে উত্তর অন্টারিওর গ্রামীণ অঞ্চলে, যেখানে সংক্রমণের হার কম আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকারে থাকবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

গত ১৪ ডিসেম্বর কানাডায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও তা চলছে ধীর গতিতে। করোনা মহামারির শুরু থেকেই নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা সরকার, যা এখনও বহাল রয়েছে।

এইচকে