কারাবন্দি লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে টরন্টোয় প্রতিবাদ
প্রয়াত লেখক মুশতাক আহমেদ
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন টরন্টোর লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় এই মৃত্যুর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনের অপব্যবহার করে আটক করা সব বন্দিদের দ্রুত মুক্তি চাওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন এনায়েত করিম বাবুল, শওগাত আলী সাগর, সোলাইমান তালুত রবিন, আজিমউদ্দিন আহমেদ, ফয়েজ নুর ময়না, জগলুল আজিম রানা, আরিফ হোসেন বনি, মনিস রফিক, মিনারা বেগম, পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কারাগারে মারা যান মুশতাক আহমেদ। কারা সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুশতাককে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত বছরের মে মাস থেকে কারাবন্দি ছিলেন মুশতাক। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। দেশে কুমির চাষের অন্যতম উদ্যোক্তা মুশতাক আহমেদ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। থাকতেন ঢাকার লালমাটিয়ায়। তার সঙ্গে স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মাও থাকতেন।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে ২০২০ সালের ৫ মে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া থেকে আটক করে র্যাব। পরে রমনা থানায় মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র্যাব তিনটি মামলা করে।
গত ১১ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এইচকে