সংযুক্ত আরব আমিরাত ইন্দোনেশিয়ায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে ঘোষণা করেছে। আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স ও আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর উপ-সর্বোচ্চ কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এ ঘোষণা দেন।   

ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত খাতগুলোতে আরব আমিরাত বিনিয়োগ করবে। এতে দেশটির অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, বন্দর, পর্যটন, কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।
 
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো গত মাসে ইন্দোনেশিয়া বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের সুপারভাইজার ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। যা ২০২০ সালের অক্টোবরে গৃহীত ওমনিবাস জব ক্রিয়েশন ল-এর অধীনে গঠিত হয়েছিল। ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ ব্যবস্থা পরিচালনা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে যাচ্ছে নবগঠিত এই বোর্ড।

এ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হলো ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত প্রকল্পগুলো কার্যকর করা এবং কালিমান্তানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নতুন রাজধানী নির্মাণ। যা দেশটির জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার শক্তিশালী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও সুদৃঢ়। ১৯৭৮ সালের ২৮ অক্টোবর আবু ধাবিতে ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।

১৯৯০ সালে প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ইন্দোনেশিয়ায় ঐতিহাসিক সফরের পরে ১৯৯১ সালে জাকার্তায় আরব আমিরাতের দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়। শীর্ষ নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সফর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। 

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। এ সময় দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

সম্প্রতি দুই দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইন্দোনেশিয়া সপ্তাহ ২০২১ শেষ করেছে। যার মধ্যে বন্দর, প্রতিরক্ষা শিল্প, জ্বালানি, পর্যটন, অর্থনীতি ও ম্যানগ্রোভ অঞ্চল সম্পর্কিত একাধিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের আমদানি-রফতানি ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে।

সূত্র: আমিরাত সংবাদ সংস্থা

ওএফ