মেক্সিকোর বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ বর্ণীল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানের জন্য ১৪ এপ্রিল পরিবর্তে ২৭ মে তারিখে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি দূতাবাস প্রদক্ষিণ করে, যেখানে ছিল ট্যাপা পুতুল, প্যাঁচা, বাঘ, ময়ূর, হাতির মুখোশসহ নানা ধরনের রঙিন ফেস্টুন।

আমন্ত্রিত কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। 

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তিনি ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে গর্ববোধ করেন। সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং পরম্পরা রক্ষায় দূতাবাসের সঙ্গে একাত্মতা রেখে বিদেশের মাটিতে কাজ করে যাবেন।

এছাড়াও রাষ্ট্রদূত ইসলাম উপস্থিত সকলকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাকড্রপে ব্যবহৃত শীতল পাটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন যা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব মানবতার অমূল্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত যা বাংলাদেশের  গ্রামীণ সংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। 

অনুষ্ঠানটিকে আরও উপভোগ্য করতে মেক্সিকান শিল্পীরা ‘ফ্রিদা কাহলোর’ মোটিফ সম্বলিত শাড়ি পরিধান করে বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করেন।

মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটাতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মাধ্যমে একটি আনন্দঘন মুহূর্তের অবতারণা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন, পিঠা-পুলি, পান্তা ভাত, বিভিন্নরকম ভর্তা, মাছ ভাজা, পায়েস উপস্থিত সকলের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত হয় ।