মিশিগানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত চার সপ্তাহে ১৩৩ শতাংশ বেড়েছে। অন্য যেকোনো বয়সীদের তুলনায় তাদের সংক্রমণের হার বেশি। এর মাধ্যমে রাজ্য নতুন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
মিশিগান স্বাস্থ্য ও মানবসেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রথম করোনা মহামারির সময়ে মিশিগানে শিশুদের মধ্যে নিশ্চিত এবং সম্ভাব্য আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল তার চেয়ে কম।
বিজ্ঞাপন
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। ওই সময় যুবদের ক্রীড়া পুনরায় শুরু হয়েছিল। বাচ্চাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে চাপও সৃষ্টি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) মিশিগানে পাঁচ হাজার ২২৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে, যা এ বছরের সবচেয়ে বড় দৈনিক এবং ১০ ডিসেম্বরের পর সবচেয়ে বেশি শনাক্ত।
ডেট্রয়েট নিউজকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া, বিশেষত কিশোর-কিশোরী, যাদের ছোট বাচ্চাদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে তাদের। এটি স্কুলগুলো পুনরায় চালু করা, মানবদেহে পশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন এবং মহামারির সমাপ্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে করোনাভাইরাস ২০২২ সাল পর্যন্ত বেশ শক্তভাবেই টিকে থাকবে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় শিশুদেরও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা জরুরি বলে তারা মনে করছেন। শুধুমাত্র ফাইজারের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি ১৬-১৭ বয়সীদের প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১৫ এবং এর কম বয়সের শিশুদের জন্য নিরাপদ বলে কোনো ভ্যাকসিন এখনও বিবেচিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের কম বয়সী কারও জন্য মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন অনুমোদিত নয়। তবে মডার্না ও ফাইজার বাচ্চাদের ওপর তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করতে শুরু করেছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রীতি মালানী বলেছেন, এখন আমরা যা জানি, সেটা অনুযায়ী ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারি। পরবর্তী ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য গ্রুপটি সম্ভবত ১২ বছরের বেশি বয়সীরা হবে। সবচেয়ে কম বয়সী শিশুদের দিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।
এসএসএইচ