জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় (৯ আগস্ট) জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এ আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় ইতিহাস। এই ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর পরে এই ইতিহাস সৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। কারণ তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও সকল সঙ্কটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্ত ও নির্ভীক সহযাত্রী।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার জন্য একযুগেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন। প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রেখেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন সাধারণের মধ্যে অসাধারণ প্রজ্ঞা ও প্রতিভার অধিকারি। বঙ্গবন্ধুর কারাগারে থাকাকালীন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাহসী ভূমিকা পালন এবং বঙ্গবন্ধুর চরম আস্থার প্রতীক হিসেবে তিনি আমার চোখে দেখা নারীর ক্ষমতায়নের এক অনন্য উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শ থেকে অনেক গুণাবলী অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের নারীরা বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবেন।
এনআই/এমএসএ