বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব/ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বাংলাদেশ দূতাবাসে দিনটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। 

বুধবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত-কর্মকর্তা, ওষুধ ও পোষাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক এনজিওর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তারা বঙ্গমাতার জীবনচর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবন লড়াই ও আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন তার সহধর্মিনী ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো থেকে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি থাকার সময় সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বঙ্গমাতা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গমাতা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছেন। তিনি বীরাঙ্গনাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনসহ বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার মতো মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রদূত সবাইকে জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষভাগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শাহাদতবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/কেএ