মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে অ্যানালগ প্লাস ডিজিটাল পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন অত্যাধুনিক সিস্টেম চালু করেছে সরকার। ২০ বছর ধরে পরিচালিত পুরাতন (মাইআইএমএম) পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন (এনআইআইএস) সিস্টেমে চলবে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম।

এছাড়া দেশের প্রধান প্রবেশ পথের নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য প্রবেশপথ  নিয়ন্ত্রণে  স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুর হোটেল হিলটনে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, নতুন পদ্ধতি (এনআইআইএসই) চালুকরণে সরকার ১ বিলিয়নেরও বেশি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বরাদ্দ দিয়েছে। যাতে দেশের অভিবাসন ব্যবস্থা আরও মজবুত হয়। এর মধ্যে নাগরিকদের কাছে পরিষেবা সরবরাহ ব্যবস্থা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা দিক রয়েছে।

এ সময় প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আই দাতুক সেরি ডা. ইসমাইল মোহাম্মদ সাঈদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব দাতুক ওয়ান আহমদ দাহলান আবদুল আজিজ, পরিচালক ইমিগ্রেশন জেনারেল দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ এবং উপ- পরিদর্শক পুলিশ জেনারেল  দাতুক সেরি অ্যাক্রিল সানি আব্দুল্লাহ সানি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যমান ইমিগ্রেশন সিস্টেম, অর্থাৎ মাইআইএমএমগুলো আরও পরিশীলিত, সংহত ও সর্বজনীন সিস্টেমের সাথে প্রতিস্থাপন করা হবে। যেমন- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংক  (আইওটি) এবং বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্সের (বিডিএ) মতো আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত। আইআরআইএস ইনফরমেশন টেকনোলজি সিস্টেমস এসডিএন ভিডি আগামী ৫৪ মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র  মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য  স্বতন্ত্র সংস্থার সাথে সমম্বয়ে এ এনআইআইএস সিস্টেমটি কাজ করবে।

এনআইআইএস ২০২৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই নতুন ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে  জাতীয়  সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষা রক্ষার লক্ষ্যে অভিবাসন পরিষেবা আরও জোরদার  হবে। এনআইআইএসই সিস্টেমটি অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে ইমিগ্রেশন  বিভাগের পরিষেবাগুলোকে আধুনিকায়ন করবে।

এনআইআইএসিকে ‘মাল্টি-ফ্যাক্টর অ্যান্টিফিকেশনʼ-এর মতো সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যও সজ্জিত করা হবে। সিস্টেমে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আগে ব্যবহারকারীর অবশ্যই পাসওয়ার্ড এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে। যে কোনো অনিয়ম,  অনিয়মিত এবং সন্দেহজনক অনলাইন কার্যকলাপ এই 'জাতীয় ইমিগ্রেশন কমান্ড সেন্টারের' মাধ্যমে পুরোপুরি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। বিদ্যমান ব্যবস্থার চেয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরও দ্রুত এবং কার্যকরভাবে নেওয়া যেতে পারবে।

এইচকে